উজানে ঢল ও টানা তিনদিন বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। পানি বাড়ার ফলে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে করে বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ। ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তবে তিস্তা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Advertisement
শনিবার (২৮সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ০০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে শুক্রবার সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যে হারে পানি বাড়ছে তাতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফলে জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। নিম্নাঞ্চলে ইতিমধ্যে প্রবেশ করেছে পানি। চরাঞ্চলেও রাস্তাঘাট ডুবেছে।
Advertisement
তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বাড়াতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিংঙ্গীমারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার ছয়ানী গ্রামের আবু বক্কর বলেন, সকাল থেকে পানি বেড়ে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। আমরা অনেক কষ্টে চলাচল করছি।
একই উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, তিস্তার পানি রাত থেকে বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
Advertisement
রবিউল হাসান/জেডএইচ/এমএস