আন্তর্জাতিক

ভারত থেকে গরু পাচারকালে ২ বাংলাদেশিসহ আটক ৫

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও মালদহে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু পাচারকালে পৃথক অভিযানে পাঁচজনকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি ও তিনজন ভারতীয় রয়েছেন।

Advertisement

বিএসএফের দাবি, অবৈধভাবে পাচারের সময় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৩২টি গরু জব্দ করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে ভাগীরথী ও পদ্মা নদীতে পানি বেড়ে গেছে। এ কারণে কোথাও কোথাও ভৌগোলিক সীমা মুছে গেছে। এ সুযোগে গরু পাচারকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর ও আরাধরপুরের ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১১৫তম ব্যাটালিয়ান এবং ৮৮তম ব্যাটালিয়ানের বেড়িবাঁধ এলাকায় গঙ্গার পানি বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে অবৈধ উপায়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসব গরু পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল।

বিএসএফের তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের গোপন সূত্রে গরু পাচারের খবর পাওয়া যায়য। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ভোরে বর্ডার পোস্ট কেদারিপদ, ৮৮ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সীমান্তে মালদহের ডাল্লা গ্রামের দিকে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখতে পান। পরে তাদের দাঁড়াতে বললেও তারা সে কথায় কান না দিয়ে বিএসএফ জওয়ানদের দিকে অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে এগোতে থাকে।

Advertisement

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গুলি চালায় বিএসএফ। এসময় পাচারকারীরা গরুগুলো ফেলে পালানোর চেষ্টা করলে বিএসএফ সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে দুই বাংলাদেশি গরু পাচারকারীকে আটক করে। তবে চক্রের আরও তিন-চারজন পালিয়ে যায়। এরপর সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি গরু উদ্ধার করে বিএসএফ।

আটক দুই বাংলাদেশি নিজেদের মোহাম্মদ রুবেল ও আমানুরলা নামে পরিচয় দিয়েছেন। উভয়েই নওগাঁর সীমান্তবর্তী দাওয়ারপাল ও জুগিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, গরু পারাপার করে দিলে প্রত্যেককে চার হাজার টাকা করে দেওয়া হতো। কিন্তু পাচারকালে তারা গরুসহ বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন।

অন্যদিকে, গঙ্গা নদী দিয়ে গরু পাচারের সময় তিন ভারতীয় চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিএসএফ। চোরাকারবারিরা অবৈধভাবে গঙ্গা নদী দিয়ে ৬টি গরু পাচারের চেষ্টা করছিল। ১১৫তম ব্যাটেলিয়ান সীমান্ত চৌকি নিমতিতা, বাজিতপুর, তালতলী, কাঁঠালী বিএসএফের জওয়ানরা একটি স্পিড বোটে করে চোরাকারবারিদের ধাওয়া করে তাদের আটক করে। পরে পুরো এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে শোভাপুর অঞ্চল থেকে আরও ২০টি গরু উদ্ধার করে এবং তিনজন ভারতীয়কে আটক করে বিএসএফ।

Advertisement

আটক তিন ভারতীয় মুর্শিদাবাদের লঘুপুর এবং মালদহের সভাপুরের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, শোভাপুরের কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাদের প্রত্যেককে ১৫০০ রুপির বিনিময়ে গবাদি পশু পাচার করতে বলেছিল। এতে তারা রাজি হন এবং পাচারকালে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন।

বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিএসএফ শুধু গবাদি পশুর অবৈধ চোরাচালান রোধ করে না, বরং সীমান্তে অপরাধ মোকাবিলায়ও সর্বদা তৎপর।

ডিডি/এমকেআর