সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুকের নামে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা তার শত্রুরাও বিশ্বাস করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।রিজভী অভিযোগ করে বলেন, দেশে বিদেশে যাতে বিএনপির পক্ষে কথা বলতে না পারে তাই ওসমান ফারুকের মতো আদর্শবান একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।এর আগে রিয়াজ রহমানের (বিএনপির উপদেষ্টা) উপরও একই কারণে হামলা করা হয়েছিল উল্লেখ করে রিজভী বলেন, মোট কথা বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করে দাও, নিমূর্ল করে দাও। এটাই সরকারের টার্গেট। ওসমান ফারুক শেষ আক্রমণের স্বীকার।বিএনপির এ নেতা বলেন, বিচারপতিদের অভিসংশন ক্ষমতা এখনো জাতীয় সংসদে। এটা স্বাধীন বিচারে বাধার সৃষ্টি করবে। কারণে পার্লামেন্ট একদলীয়। এক ব্যক্তির ইচ্ছার প্রতিফলন হবে। বিচারপতিদের নিয়ন্ত্রণ করে চাপে রাখার জন্য এ আইন করা হচ্ছে। সরকারকে কেউ যাতে নাড়া দিতে না পারে। বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণের এ আইন প্রণয়ন করলে সংবিধানের সর্বশেষ স্তম্ব ধ্বংস হয়ে যাবে উল্লেখ করে এ ধরনের ঘৃণ্য প্রচেষ্টা থেকে সরে আসার জন্য সরবারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যমকে আরো নিয়ন্ত্রণ করতে মিডিয়া সোল গঠন করা হয়েছে, এ যেন মরার উপর খাড়ার গাঁ। দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় তারা (আওয়ামী লীগ) এখন দিশেহারা হয়ে উঠেছে। অনাচার অপকর্ম ডেকে রাখা যায় না।রিজভী বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গণবিরোধী কর্মকাণ্ড দিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। তার কাছ থেকে জনগণের পক্ষের কোনো আইন আশা করা যায় না। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার ইনু কখনোই মন্ত্রী এমপি হতে পারবেন না। অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ার তার জন্য সঠিক পন্থা। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও তিনি জিতবেন না বলে গুঞ্জন শোনা যায়।সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এমএম/আরএস/আরআইপি
Advertisement