বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক সামিনা লুৎফাকে রাখায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাকে বাদ দিয়ে আলোচনা সভা করার দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর প্রতিবাদলিপি দিয়েছিলেন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আলোচকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করায় আলোচনা সভা স্থগিত করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আলোচনা সভার সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী ফরিদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আলোচকরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করায় শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কেমন বাংলাদেশ চাই?’ শিরোনামে আলোচনা অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত করা হলো। পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হবে এবং পরিবর্তিত তারিখ যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় কেমন বাংলাদেশ চাই?’ শিরোনামে বাকৃবিতে অনুষ্ঠিতব্য ওই আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। আলোচক ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন, ঢাবি অধ্যাপক সামিনা লুৎফার ও সমন্বয়ক শাহিনুর সুমি।
Advertisement
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সমকামিতা সমর্থনকারী হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক সামিনা। তাকে বাকৃবিতে তারা কোনোভাবেই দেখতে চান না। এজন্য তাকে বাদ দিয়ে সভা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলেন তারা।
বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী মারুফ বিল্লাহ বলেন, ‘সমকামিতার প্রচারক সামিনা লুৎফার বাকৃবিতে আসা স্থগিত হয়েছে। বাকি দুজন সম্মানিত আলোচকদের নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ ছিল না। তারপরও পুরো অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।’
আসিফ ইকবাল/এসআর/এএসএম
Advertisement