লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরবর্তী জলাবদ্ধতার সংকট কাটছে না। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে তা লক্ষাধিক। এরমধ্যে আবার মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে টানা বৃষ্টি হয়েছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ার পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুলাইয়ের শেষ ও আগস্টের প্রথমদিকে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ভুলুয়া নদী সংশ্লিষ্ট বিস্তীর্ণ জনপদ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তখন লক্ষ্মীপুর সদরের পূর্বাঞ্চল ও রামগঞ্জেও কয়েকটি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এরপর ২২ আগস্ট থেকে নোয়াখালীর বন্যার পানি লক্ষ্মীপুরে ঢুকতে শুরু করে। এ বন্যার পানিতে প্রথমদিকে পুরো লক্ষ্মীপুরে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও ৫-৬ ফুট পানিতে বন্দি ছিল মানুষ।
এখনো সদরের পূর্বাঞ্চল, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে বলে জানা গেছে। রামগতি-কমলনগরে ভুলুয়া নদী, রায়পুরের ডাকাতিয়া নদী, সদরের রহমতখালী খালসহ জেলার ওয়াপদা খালগুলোতে অবৈধ বাঁধ ও পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, লক্ষ্মীপুর সদর, রামগঞ্জ ও রামগতির কয়েকটি ইউনিয়নে এখনো ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫০ জন রয়েছেন।
Advertisement
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজিব কুমার সরকার বলেন, বন্যা পরিস্থিতি, দীর্ঘ সূত্রতা, জলাবদ্ধতা থাকার বড় কারণ হচ্ছে এখানে পানির অবাধ প্রবাহ ছিল না। বিভিন্নভাবে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট প্রতিকূলতা। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েও অনেকে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ স্থানে রহমতখালী খাল পরিষ্কার অভিযান হচ্ছে। এছাড়া একযোগে রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ পৌরসভাতেও খাল পরিষ্কার অভিযান করা হচ্ছে।
কাজল কায়েস/জেডএইচ/জিকেএস
Advertisement