মন্ত্রিত্বকে আখের গোছানোর হাতিয়ার বানিয়ে হাজার কোটি টাকা হাতিয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। নিজ এলাকায় তার রিরুদ্ধে রয়েছে ভূমি দখল, প্রতারণাসহ নানান অভিযোগ। পরিবহনে চাঁদাবাজি ও বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করে বিশাল অংকের কমিশন নিতেন তিনি। আত্মীয়-স্বজন আর দলের কয়েকজন নেতাকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন নীপিড়ক বাহিনী। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের সদস্যরা। এলাকায় দেখা মিলছে না তার সাঙ্গপাঙ্গদেরও।
Advertisement
মানিকগঞ্জ-৩ আসনে (সদর ও সাটুরয়া উপজেলা) চারবারের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক (স্বপন)। ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং একবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই এলাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন জাহিদ মালেক ও তার অনুসারীরা। রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে এলাকায় গড়েন ত্রাসের রাজত্ব। এতদিন ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তার জুলুম ও অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরেন অনেকে।
আরও পড়ুন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ ৫৫ জনের নামে মামলা জাহিদ মালেক-দীপু মনি-শেখ হেলালসহ ১৩ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় শত শত বিঘা জমির মালিক হয়েছেন। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এসব জমি জোরপূর্বক অথবা নামমাত্র মূল্যে লিখে নিয়েছেন। জমি লিখে না দিলে তাদের নামে মিথ্যা মামলাসহ হয়রানিরও খবর পাওয়া গেছে।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিশাল বাগান বাড়ির একাংশ
Advertisement
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার উকিয়ারা গ্রামে সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগসের কারখানা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এজন্য কেনা হয় সাড়ে ৩১ একর জমি। এসব জমির বেশির ভাগ জাহিদ মালেক নিজের প্রতিষ্ঠান এবং ছেলে-মেয়ের নামে জোরপূর্বক লিখে নেন। এরপর কৃষিজমিতে মাটি ভরাট করে মৌজা মূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করেন। যাতে সরকার জমি অধিগ্রহণ করলে বেশি মূল্য পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গরপাড়া ঘোষের বাঁধা এলাকায় বিশাল বাগানবাড়ি করেছেন জাহিদ মালেক। অভিযোগ আছে, সেখানে মায়ের নামে স্কুল করার কথা বলে স্থানীয়দের চাপ প্রয়োগ করে জমি নিয়েছেন। তার ক্ষমতার দাপটের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে এলাকার মানুষ। তার বাহিনীর সদস্যরা মানুষের জমি দখল, চাঁদাবাজি, লুটপাট, অবৈধ মাটির ব্যবসাসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।
জাহিদ মালেক এই প্রক্রিয়ায় শত কোটি টাকা সরকারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়ার ছক এঁকেছিলেন। কিন্তু মানিকগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফের আপত্তির কারণে সে উদ্দেশ্য ভেস্তে যায়। পরে জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবিতে মানিকগঞ্জ শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জাহিদ মালেকের অনুসারীরা।
সরেজমিনে উকিয়ারা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এসেনশিয়াল ড্রাগস কারখানার জন্য প্রস্তাবিত ওই জমিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। উঁচু ভিটায় জন্মেছে কাশফুলসহ আগাছা। এসময় কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা হয়।
Advertisement
এদেরই একজন কৃষক আব্দুস সালাম জানান, তার গভীর নলকূপের আওতায় ১১০ বিঘা কৃষিজমি জোরপূর্বক ভরাট করে নামমাত্র দাম দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী। ৯২ শতাংশ জমির কোনো মূল্যই দেননি। কিছু বললেই তার লোকজন ভয় দেখাতো। হুমকি-ধামকি দিতো।
জাহিদ মালেকের নিজ বাড়ি
তিনি বলেন, আমি নিজে হাজার থেকে ১২শ’ মণ ধান পেতাম। এলাকায় ধান হতো ৭-৮ হাজার মণ। এই ফসলে সারা বছর সংসার চলতো মানুষের। অথচ ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে জমিগুলো দখল করে নিলো।
আরও পড়ুন টাইম মাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় জাহিদ মালেক দেড় যুগ পর মন্ত্রী পেল মানিকগঞ্জএকই অভিযোগ ইউনুছ আলীরও। তিনি জানান, চারপাশে বাঁধ দিয়ে মাঝখানে তার জমি আটকিয়ে ফেলেছিল। এরপর লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। পরে বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দেই। কিন্তু জমির দাম লাখ টাকা শতাংশ হলেও, তাকে মাত্র ৪০ হাজার টাকা শতাংশ মূল্য দেওয়া হয়েছে।
এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির প্রস্তাবিত জায়গা
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার উকিয়ারা গ্রামে সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগসের কারখানা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এজন্য কেনা হয় সাড়ে ৩১ একর জমি। এসব জমির বেশির ভাগ জাহিদ মালেক নিজের প্রতিষ্ঠান এবং ছেলে-মেয়ের নামে জোরপূর্বক লিখে নেন। এরপর কৃষিজমিতে মাটি ভরাট করে মৌজা মূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করেন। যাতে সরকার জমি অধিগ্রহণ করলে বেশি মূল্য পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ওই জায়গায় কারখানা হলো না। অথচ জমিগুলো হারাতে হলো।
এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির প্রস্তাবিত জায়গা
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কারখানার নামে চাপে ফেলে মানুষের কৃষিজমি নাম মাত্র মূল্যে এবং জোর করে লিখে নেওয়া হয়। প্রস্তাবিত সাড়ে ৩১ একর জমির মধ্যে ২০ একর ৬৫ শতাংশ জমি মন্ত্রী ও তার ছেলে-মেয়ের নামে কিনেছেন। বাকিটা মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন ও অনুগত আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে কেনা হয়।
সিংহভাগ সম্পদের উৎস-দখল, প্রতারণা ও কমিশনজাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, সাটুরিয়া উপজেলার পল্লীহাটে জমি দখলেরও। নাহার গার্ডেন এলাকায় প্রায় ১৫ বিঘা পৈতৃক সম্পত্তির ওপর সবজি আড়ত ও গরুর হাট গড়ে তোলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গরুর হাটটি বন্ধ হলেও চালু আছে সবজি আড়ত। প্রতিদিন ভোরে এই আড়তে সবজি নিয়ে আসেন স্থানীয় চাষিরা। অভিযোগ আছে, আড়তে দোকান পজিশন দেওয়ার জন্য স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ করে জামানত বাবদ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পজিশন বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। ফেরত দেওয়া হয়নি টাকাও। এই আড়তে মাটি ভরাট কাজ করে জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি মো. হানিফ আলী। তার অভিযোগ, মাটি ভরাট বাবদ প্রায় দেড় কোটি টাকা পাওনা আছে তার। কিন্তু অনেক ঘুরেও সেই টাকা পাচ্ছে না। আড়ত করার সময় মাটি ভরাট করে বিনোদন পার্ক নাহার গার্ডেনের স্বত্বাধিকারী খাদেমুল ইসলাম পিনুর ৭৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ আছে জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে। শুধু জমি দখল করেই ক্ষান্ত হননি তার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে মামলাও।
পল্লীহাট সবজি আড়ত
জাগীর এলাকায় কার্বন হোল্ডিংস লিমিটেডের কারখানা করার সময় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অনেকের জমি নামমাত্র মূল্যে এবং নানা মারপ্যাঁচে ফেলে লিখে নেন জাহিদ মালেক। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, প্রতারণার মাধ্যমে তিনজনের প্রায় ১৭ শতাশং জমি জবরদখল করেন সাবেক মন্ত্রী।
অভিযোগ আছে, তরা ও বেউথা বালুমহাল ইজারাদার নিয়ন্ত্রণ করে বিশাল অংকের কমিশন নিতেন তিনি। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা বাবুল মিয়া ওরফে কানা বাবুলের মাধ্যমে পরিবহন চাঁদাবাজির টাকার সিংহভাগ কমিশন নিতেন সাবেক এই মন্ত্রী।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে জিএমই টাওয়ার
স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গরপাড়া ঘোষের বাঁধা এলাকায় বিশাল বাগান বাড়ি করেছেন জাহিদ মালেক। অভিযোগ আছে, সেখানে মায়ের নামে স্কুল করার কথা বলে স্থানীয়দের চাপ প্রয়োগ করে জমি নিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের আগেই সপরিবারে ব্যাংকক পালিয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আত্মগোপনে আছেন তার বাহিনীর সদস্যসহ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও। যে কারণে দুর্নীতির এসব বিষয়ে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তার ক্ষমতার দাপটের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে এলাকার মানুষ। তার বাহিনীর সদস্যরা মানুষের জমি দখল, চাঁদাবাজি, লুটপাট, অবৈধ মাটির ব্যবসাসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন, বিশাল বাগান বাড়ি, সভা-সেমিনার করার জন্য ছেলের নামে ‘শুভ্র সেন্টার’, বনানীতে ১৪তলা বিটিএ টাওয়ার, ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, প্লটসহ গত ১৬ বছরে নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন জাহিদ মালেক। হলফনামা যাচাই করে দেখা গেছে, ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকা পযর্ন্ত জাহিদ মালেকের সম্পদ বেড়েছে ১১ গুণ।
পথে পথে ঘোরে সানলাইফের বিমাগ্রাহকজাহিদ মালেকের মালিকানাধীন থাকা অবস্থায় সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে লাখ লাখ গ্রাহকের অর্থ লোপাট করেছেন তিনি। পাওনা টাকার জন্য এখনো দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন গ্রাহকরা।
পল্লীহাট সবজি আড়তের টিনশেড ঘর
চাঁদপুরের রহিমা বেগম নামের এক গ্রাহক গত কয়েক বছর ঘুরে বিমা দাবি পাননি। তার মৃত্যুর পর খবর এসেছে, তার নামে চেক ইস্যু হয়েছে। আবার পরিবারের নামে ইস্যু করার প্রক্রিয়ায় আটকে আছে সেই দাবি পূরণের চেক। তার মেয়ে ফাতেমা তুজ জোহরা জাগো নিউজকে বলেন, আমার মা তার বিমা দাবির জন্য বহুবার সানলাইফের অফিসে ধরনা দিয়েছেন। আজ হবে, কাল হবে করে দুই বছর ঘুরিয়েছে তারা। এমনকি আমার মা মারা গেছেন, তার চেক তিনি পাননি। মায়ের মৃত্যুর ছয় মাস পর শুনি তার নামে চেক আসছে। এই চেক আবার মা ছাড়া আমাদের দেবেও না। এখন আমরা মা পাবো কই? চেক নেবো কেমনে? যে কারণে ওই চেক নিতে পারিনি।
আরও পড়ুন আমরা জনগণের টাকায় চলি এটা মনে রাখতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউরোপের তুলনায় আমরা এখনো ভালো আছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রীরহিমার মতো এমন অনেকেরই বিমা দাবি পূরণে হয়রানির অভিযোগ আছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে। সাইফুল্লাহ নামের কুমিল্লার এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, ‘আমার বিমা দাবি নিয়ে তিন মাস ঘুরছি। পরে ওপর থেকে তদবির করে চেক নিছি।’ জাহিদ মালেক পালানোর পর আরও সংকট ও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিমার গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নাম-পদবি উল্লেখ না করে আলাপে অফিসের কর্তারা বলেন, মালিক যখন বেকায়দায় কোম্পানিতে তো তার প্রভাব পড়বেই।
জিএমই টাওয়ার
স্বাস্থ্যের ভূত জাহিদ মালেকের দুর্নীতির শেষ নেইএছাড়া স্বাস্থ্যখাতের কেনাকাটা, নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, টেন্ডারসহ সব কিছুতেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে। তার আমলেই স্বাস্থ্যখাতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ১৮০০ লোক নিয়োগ হয়। সেখানে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি গণমাধ্যমের কল্যাণে ভাইরাল হয়। ‘এখন এক কোটি দেব, পরে আরও পাবেন’ দৈনিক প্রথম আলোর এমন শিরোনামে হৈ চৈ পড়ে যায়। এর বাইরে ‘৩৫০ কোটি জরুরি কেনাকাটায় অনিয়ম’আলোচনায় আসে। জাহিদ মালেকের নেতৃত্বের এই অনিয়ম ও দুর্নীতি ঢাকতে সে সময় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ওপর চড়াও হয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
এর বাইরে ‘৩৫০ কোটি টাকার জরুরি কেনাকাটায় অনিয়ম’আলোচনায় আসে। জাহিদ মালেকের নেতৃত্বের এই অনিয়ম ও দুর্নীতি ঢাকতে সে সময় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ওপর চড়াও হয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এরইমধ্যে জাহিদ মালেকের সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তার বিদেশ ভ্রমণেরও। জাহিদ মালেক, তার ছেলে রাহাত মালেক ও মেয়ে সিনথিয়া মালেকসহ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে জাহিদ মালেকের সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তার বিদেশ ভ্রমণেও। জাহিদ মালেক, তার ছেলে রাহাত মালেক ও মেয়ে সিনথিয়া মালেকসহ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।
সপরিবারে ব্যাংককে পালিয়েছেন জাহিদ মালেকঅনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের আগেই সপরিবারে ব্যাংকক পালিয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আত্মগোপনে আছেন তার বাহিনীর সদস্যসহ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও। যে কারণে দুর্নীতির এসব বিষয়ে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কার্বন হোল্ডিংস লি. কারখানা
মানিকগঞ্জ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর ইন্তাজ উদ্দিন জানান, অবৈধভাবে জনগণের সম্পদ কেউ গ্রাস করলে সরকারের সংস্থাগুলো তদন্ত করে জমি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। একই সাথে ভবিষ্যতে যাতে কেউ অবৈধ সম্পদের মালিক না হতে পারে সেজন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এসইউজে/বিএমকে/এসএইচএস/জেআইএম