মালয়েশিয়ায় অবৈধ কর্মীদের বৈধকরণ কর্মসূচি আরটিকে-২.০ এর অধীনে বিদেশি কর্মীদের নতুন নিবন্ধন ও নিবন্ধন পূর্ব পেমেন্টের মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করা হয়েছে। দেশটির চার শতাধিক কোম্পানির মালিক মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে (কেডিএন) এ বিষয়ে আবেদন করেছেন।
Advertisement
মালয়েশিয়ার সরকারি গণমাধ্যম বারনামা জানিয়েছে, কোম্পানি মালিকদের একজন প্রতিনিধি সয়াহ পুত্রা মারওয়ান বলেছেন, কোনো পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই আরটিকে-২.০ কর্মসূচি বন্ধ করার ফলে দেশে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধভাবে নিয়মিত কর্মী হিসেবে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টায় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের কেডিএনে প্রায় ১০০ কোম্পানি মালিকের অংশগ্রহণে এক শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হয়। সমাবেশে তারা জানান, মালয়েশিয়ায় কনস্ট্রাকশন, প্লানটেশন, ম্যানুফ্যাক্টর এবং সার্ভিস সেক্টরগুলো বিদেশি কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এখন আরটিকে-২.০ কর্মসূচি বন্ধ হলে এসব খাত চালানো তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে।
শিল্প মালিকরা বলেন, রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচির অধীনে নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা প্রায় ৫ হাজার বিদেশি কর্মী এখনো আটক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। যদিও তারা আরটিকে-২.০ কর্মসূচির অধীন রেজিস্ট্রেশন করে আইন মেনে চলার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
Advertisement
কোম্পানি মালিকদের প্রতিনিধি সয়াহ পুত্রা মারওয়ান জানান, আবেদন করার প্রক্রিয়া বন্ধের কারণে আরটিকে-২.০ এর অধীনে অর্থপ্রদান করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় তারা তাদের কর্মীদের নিবন্ধন করতে না পারায় কোম্পানি মালিকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
তিনি আরও দাবি করেন, কিছু কোম্পানির মালিক এরই মধ্যে লেভি এবং অন্যান্য ফি প্রদান করেছেন। যেমন- শ্রমিকদের মেডিকেল পরীক্ষা মনিটরিং এজেন্সিতে (ফোমেমা) মেডিকেল করেছেন এবং বিমাও সম্পন্ন করেছেন। তবে সিস্টেমে পেমেন্ট করা যাচ্ছিল না। কারণ সিস্টেমটি তখন আর চালু ছিল না।
সয়াহ পুত্রা বলেন, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে (কেডিএন) আরটিকে-২.০ কর্মসূচি পুনরায় চালু করার অনুরোধ জানিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।
গত ১০ মার্চ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছিলেন, সরকার ৩১ মার্চের পরে আরটিকে-২.০ এর অধীনে নিবন্ধিত সব কোম্পানি মালিকদের জন্য বিদেশি কর্মী বৈধকরণ প্রক্রিয়ার সময় আর বাড়াবে না।
Advertisement
কেএসআর/জিকেএস