বাংলাদেশ দক্ষ নাবিক তৈরিতে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ স্থান অর্জনকারী দেশ হিসেবে পরিগণিত হওয়ার সক্ষমতা রাখে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ‘বিশ্ব মেরিটাইম দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জন্য শুধু বিশেষ একটি দিবসই মেরিটাইম দিবস নয়, প্রতিটি দিনই মেরিটাইম দিবস। আমাদের সামুদ্রিক মানচিত্র অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। আমাদের রয়েছে বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ নৌপথ, বিশাল বঙ্গোপসাগর এবং অবশ্যই আমাদের রয়েছে দক্ষ নাবিক। আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরের রয়েছে শত শত বছরের ঐতিহ্য। একসময় এখানেই নির্মাণ করা হতো পাইরেট শিপ যাকে বর্তমানে স্থানীয়ভাবে বলা হয় সাম্পান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামেই পর্তুগিজরা বসতি গড়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের পর আরও দুটো সমুদ্র বন্দর যথা মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর যাত্রা শুরু করে। আমাদের মেরিন একাডেমিগুলো অত্যন্ত আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের।
Advertisement
বাংলাদেশের পাঁচটি মেরিন একাডেমি হতে দক্ষ ও মেধাবী নাবিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানকে আরও কীভাবে উন্নত করা যায়, সেগুলো নিয়ে আমরা প্রতিদিনই কাজ করছি। বাংলাদেশ মেরিনার তৈরিতে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শীর্ষস্থান অর্জনকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পথে বিশেষ কোনো বাধা আছে বলে আমি মনে করি না।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সাম্পান বা জাহাজ নির্মাণে আমাদের যে ঐতিহ্য রয়েছে তা পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি।
মেরিনারদের জন্য দূতাবাসগুলোতে পদসৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আইএমও কর্তৃক সি ক্যাটাগরির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন বাংলাদেশের জন্য মেরিন সেক্টরে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ। আগামী ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) এর নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করবে।
ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নেভিগেটিং দ্য ফিউচার: সেফটি ফার্স্ট’।
Advertisement
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সভাপতিত্ব নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।
এছাড়া এ অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিবের ধারণ করা বাণী প্রচার, মূলপ্রবন্ধ ও পেপার প্রেজেন্টেশন, মেরিটাইম সেক্টরে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরএমএম/এমএএইচ/জিকেএস