রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য স্থাপিত তিনটি ডিজেল জেনারেটর ইউনিটের মধ্যে একটিতে ‘কোল্ড রান’ পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দুই ধাপে পরীক্ষাটি চালানো হয়।
Advertisement
প্রথম ধাপে উচ্চচাপের বায়ুর সাহায্যে ডিজেল জেনারেটর ইউনিটের সব অংশের কার্যকারিতা নিশ্চিত হওয়ার পর জ্বালানি ব্যবহার করে জেনারেটরটি চালু করা হয়। স্টার্টআপের পূর্বে কমিশনিং প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটমের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এর ডিজেল জেনারেটর ইউনিট, যা স্ট্যান্ডবাই বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। কোনো কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টর বন্ধ রাখার প্রয়োজন হলে এই জেনারেটর থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতিতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। জেনারেটর ইউনিটের উচ্চতা ৫.৫ মিটার, দৈর্ঘ্য ১৩ মিটার এবং ওজন ১৮৫ টন। জেনারেটর ইউনিটটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৬.৩ মেগাওয়াট।
Advertisement
রূপপুর প্রকল্পের এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর আগে এর সকল সিস্টেমের মান নিশ্চিত ও অপারেশন সক্ষমতা যাচাই করা হয়, যা কমিশনিং ধাপে বাধ্যতামূলক কার্যক্রম। সাধারণত রুশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর জীবনকাল ১০০ বছরেরও বেশি এবং এই সময়কালে আমরা আমাদের সব প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।
রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্পটিতে দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে। এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২৪০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাকটর যা সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। রসাটম প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাকটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
শেখ মহসীন/এসআর/জেআইএম
Advertisement