অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের নীতি সুদহারে এশিয়ায় কেমন প্রভাব পড়বে জানালো এডিবি

নীতি সুদহার কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। যা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি হারে কমানো হয়েছে নীতি সুদহার। কোভিড মহামারির পর অর্থাৎ গত চার বছরের মধ্যে এই প্রথম নীতি সুদহার কমানো হলো। এক ধাপে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নীতি সুদহার কমানো হয়েছে।

Advertisement

এর ফলে বিনিময় হারের মূল্যবৃদ্ধি আমদানিকে বাড়িয়ে তুলবে, যা চলতি হিসাবের ওপর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মাঝারি মেয়াদে, শক্তিশালী মুদ্রা, রপ্তানি বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, বিশেষ করে গার্মেন্টস বা টেক্সটাইলের মতো পণ্য রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতির জন্য, যা মূলত মূল্য প্রতিযোগিতার ওপর নির্ভর করে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য মার্কিন সুদের হার কমানোর অর্থ কী হবে’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন এ তথ্য তুলে ধরে এডিবি)। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ম্যাট্টিও লাঞ্জাফেমের লেখা নিবন্ধনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার কমানোর ফলে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করা হয় এই প্রবন্ধে।

Advertisement

চলতি বছরের শেষ নাগাদ মার্কিন নীতি সুদহার ৪ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। যদিও জুন মাসে তাদের ধারণা ছিল, বছর শেষে নীতি সুদহার ৫ দশমিক ১ শতাংশে নামবে। এরপর ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ নীতি সুদহার তারা আরও ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছেন।

আরও পড়ুন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার ফের বাড়লো

এডিবি জানায়, এটি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নশীল অর্থনীতিসহ বিশ্ব অর্থনীতির জন্য উল্লেখযোগ্য পরিণতি হতে পারে। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল হওয়ায় এবং গত বছরের আর্থিক সংকীর্ণতার পিছিয়ে যাওয়া প্রভাবগুলো এ বছর এ অঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতির চাপ অব্যাহতভাবে কমেছে। সুদহার কমানোর ফলে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সতর্কতা এবং একটি সতর্ক ভারসাম্যমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।

এ ধরনের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন সুদের হার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মূলধনের প্রবাহ বাড়াতে পারে, কারণ বিনিয়োগকারীরা তাদের পোর্টফোলিও আরও আকর্ষণীয় করবে। এটি সমগ্র অঞ্চলজুড়ে ইক্যুইটি ও বন্ড বাজার বাড়িয়ে তুলতে পারে। আরও দুর্বল অর্থনীতিতে কিছুটা শ্বাস নেওয়ার জায়গা সরবরাহ করতে পারে। মূলধনের প্রবাহ কিছু চ্যালেঞ্জও উপস্থাপন করতে পারে, কারণ স্বল্পমেয়াদি পোর্টফোলিও বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আর্থিক বাজারের অস্থিরতা বাড়াতে পারে।

এডিবি আরও জানায়, উচ্চপুঁজি প্রবাহের ফলে এই অঞ্চলে মার্কিন ডলারের তুলনায় বিনিময় হার বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি তেল এবং অন্যান্য পণ্য আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল অর্থনীতিকে উপকৃত করবে। উচ্চ মার্কিন ডলার-নির্ধারিত ঋণের অর্থনীতির জন্য, মার্কিন ডলারের অবমূল্যায়ন ঋণের বোঝা ধরে রাখা সহজ করে তুলবে।

Advertisement

এমওএস/বিএ/জিকেএস