কৃষি ও প্রকৃতি

অতিবৃষ্টিতে কৃষকদের করণীয়

মাঝে মাঝে তাপদাহে মানুষ ও প্রকৃতি অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। আবার হঠাৎ অতিবৃষ্টির শীতল স্পর্শে ধরণীকে শান্ত, শীতল ও শুদ্ধ করে। গাছপালা ধুয়ে-মুছে সবুজ প্রকৃতি যেন মন ভালো করে দেয়। এতে কৃষিকাজেও নিয়ে আসে ব্যাপক ব্যস্ততা। তাই আসুন, জেনে নিই অতিবৃষ্টিতে কৃষকের করণীয় আবশ্যকীয় কাজগুলো সম্পর্কে।

Advertisement

কৃষকের করণীয়

• দ্রুত পরিপক্ব সবজি সংগ্রহ করে ফেলুন। • জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন। • জলাবদ্ধতা পরিহারের জন্য সবজির জমির চারপাশে নিষ্কাশন নালা তৈরি করুন। • আমন ধানের জমির নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন, যেন পানি জমতে না পারে। • আমন ধানের জমির আইল উঁচু করে দিন। • সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রদান থেকে বিরত থাকুন।• কলা ও দণ্ডায়মান সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করুন। • আখের ঝাড় বেঁধে দিন। • গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির থাকার জায়গা পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।

আরও পড়ুন পাহাড়ে অ্যাভোকাডো চাষে সফল ওমর শরীফ  চারা পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা হাওরাঞ্চলের কৃষকদের 

• পুকুরের চারপাশ উঁচু করে দিন। সম্ভব হলে চারপাশে জাল বা বাঁশের চাঁটাই দিয়ে ঘিরে দিন। যেন অতিরিক্ত পানিতে মাছ ভেসে না যায়।• বোরো ধানসহ অন্য বীজ উঁচু ও সঠিক পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে বৃষ্টি বা আর্দ্রতায় নষ্ট না হয়।• বন্যার আশঙ্কা হলে আগাম রোপণ করা আউশ ধান শতকরা ৮০ ভাগ পাকলেই কেটে মাড়াই-ঝাড়াই করে শুকিয়ে যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।• আমন ধানের বীজতলা তৈরির জন্য উঁচু জমি না পেলে ভাসমান পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করে চারা উৎপাদন করা যেতে পারে। • খরা ও লবণাক্ত এলাকায় জমির এক কোণে মিনি পুকুর খনন করে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন, যেন পরে সম্পূরক সেচ নিশ্চিত করা যায়।• পরিণত হওয়ার পর বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার আগে ভুট্টার মোচা সংগ্রহ করে ঘরের বারান্দায় রেখে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।• এ সময়ে উৎপাদিত শাক-সবজির মধ্যে ডাঁটা, গিমাকলমি, পুঁইশাক, চিচিঙা, ধুন্দল, শসা, ঢ্যাঁড়শ এবং বেগুনের গোড়ার আগাছা পরিষ্কার করে প্রয়োজন হলে মাটি তুলে দিতে হবে।

এসইউ/জিকেএস

Advertisement