ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিখোঁজের ২২ দিন পরও সন্ধান মেলেনি মা-মেয়ের। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। নিখোঁজ গৃহবধূ উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্রামের শাহাদাৎ মোল্লার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার ও তার দুই বছরের কন্যা সন্তান তানহা।
Advertisement
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোদালীয়া শহীদ নগর ইউনিয়নের পাইককান্দি এলাকার তাহমিদ মোল্লার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ইয়াসমিনের। এরপর ২৫ জুলাই ইয়াসমিনকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করেন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন ২৬ জুলাই নগরকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে একটি মামলা করেন ইয়াসমিনের মা পারভীন আক্তার।
এরপর থেকে ইয়াসমিন ও তার কন্যা বাবার বাড়ি গুনপালদীতে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু ৩ সেপ্টেম্বর ইয়াসমিন ও তার মেয়ে তানহাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর থেকেই নিখোঁজ তারা।
এ ঘটনায় পরদিন ইয়াসমিনের মা পারভীন ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু নিখোঁজের ২২ দিন হয়ে গেলেও কোনো খোঁজ নেই ইয়াসমিন ও তার মেয়ের।
Advertisement
এ বিষয়ে পারভীন আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো ওর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মেয়েকে নির্যাতন করায় আমরা নগরকান্দা থানায় মামলা করি। সে মামলা থেকে মুক্তি পেতে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাদের অপহরণ করে নিয়ে যেতে পারে বলে সন্দেহ হয়। আমি আমার মেয়ে ও নাতির সন্ধান চাই।
এ ব্যাপারে ইয়াসমিনের স্বামী তাহমিদ মোল্লার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার নম্বর বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কবির মোল্লা বলেন, থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। এখনো ইয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়েকে খুঁজে পাইনি, তবে খোঁজ চলছে।
এন কে বি নয়ন/জেডএইচ/এএসএম
Advertisement