পঞ্চগড়ে কুকুরের কামড়ে হাসপাতালের নার্সসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। বেশিরভাগ মানুষের পায়ে কামড়ে দিয়েছে কুকুর।
Advertisement
আক্রমণের শিকার কয়েকজন জানান, বুধবার রাত ৮টার সময় জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিস এলাকায় প্রথম এক যুবককে একটি কুকুর কামড়ে দেয়। এরপর শহরের মিঠাপুকুর, ডোকরোপাড়া, ইসলামবাগ ও ধাক্কামারাসহ বিভিন্ন এলাকায় আরও ১৩ জন কুকুরের কামড়ের শিকার হন। হালকা হলুদ গলায় সাদা রঙের এবং কালো সাদা রঙের দুটি কুকুর রাস্তায় ঘুরে এভাবেই কামড়ে চলেছে।
আহতরা হলেন- পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স জয়তুন বেগম (২৮), জেলা শহরের মিঠাপুকুর এলাকার আতাউর রহমান (৫৯) ও নজরুল ইসলাম (৫৫), লিচুতলা এলাকার রাজু (৪৫), ডোকরোপাড়া এলাকার কামরুজ্জামান (৫৫), ধাক্কামারা এলাকার আবুল কালাম (৬৬), কামাতপাড়া এলাকার জাবেদ আলী (২৬), মাগুরা খালপাড়া এলাকার নাইম (২২), গলেহা কান্তমনি এলাকার রনি (২৫), জগদল এলাকার ফেরদৌস আলী (২৬), অমরখানা এলাকার আবু মুসা (২২), দোমনি এলাকার আইনুল হক (৬০), দর্জিপাড়া এলাকার সিদ্দিকুল ইসলাম (২১), ময়দানদিঘী এলাকার বাঁধন (২০)।
এদিকে কুকুর শনাক্তসহ আটক করতে পঞ্চগড় পৌরসভার একটি দল খোঁজ শুরু করেছে।
Advertisement
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স জয়তুন বেগম বলেন, ডিউটি শেষে আমি বাড়ি ফিরছিলাম। লিচুতলা এলাকায় একটি কুকুর আমাকে কামড়ে দেয়। হাসপাতালে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা নিয়েছি।
ফেরদৌস আলী বলেন, আমি জেলা প্রশাসক অফিসের গেটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় হালকা হলুদ ও গলায় সাদা রঙের একটি কুকুর আমার পা কামড়ে ধরে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তৌহিদুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, এখন পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জন চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন নিয়েছেন। কারো কারো গভীর ক্ষত থাকায় প্রয়োজনীয় ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চগড় পৌরসভার প্রশাসক আব্দুল কাদের বলেন, বিষয়টি জানার পর কুকুর শনাক্ত করে ধরতে একটি টিম গঠন করেছি। তারা জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের খোঁজ করছে। আমরা ধারণা একটি কুকুরই মানুষকে আক্রমণ করছে। এ বিষয়ে আমরা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেছি। আমাদের কুকুর ধরার আধুনিক জিনিসপত্র নেই।
Advertisement
সফিকুল আলম/জেডএইচ/এএসএম