২০০৮ সালে কুয়ালালামপুরে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তখনই বোঝা গিয়েছিল বছর ১৯-এর এই কিশোরটি আগামী দিনের বড় তারকা হতে যাচ্ছেন। এরপর তো ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হয়ে গেলেন। একই বছর প্রথম খেললেন টেস্ট ক্রিকেট। দুই বছর পর হয়ে গেলেন র্যাংকিংয়ের সেরা ব্যাটসম্যান।টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে স্পেশালিস্ট হিসেবে প্রথম দিকে তাকে চিহ্নিত করা হলেও, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সেঞ্চুরি করে নিজেকে টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবেও প্রমাণ করলেন কোহলি। এখন তো তিনি ভারতের সাদা জার্সির অধিনায়ক। রঙ্গিন জার্সির সহ-অধিনায়ক এবং আইপিএলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে।বিরাট কোহলি এমনই এক ক্রিকেটার দিনের পর দিন যার বাজারমূল্য শুধু বেড়েই চলেছে। ২০১৩ সালেই এক জরিপে উঠে এসেছে লুইস হ্যামিল্টনের পর সেরা বাজারমূল্যের অ্যাথলেট বিরাট কোহলি। এই জরিপে তিনি পেছনে ফেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি কিংবা উসাইন বোল্টের মতো বিশ্বতারকাদেরও।এমন বাজারমূল্যের খেলোয়াড়ের সঙ্গে একের পর এক প্রতিষ্ঠান চুক্তিবদ্ধ হবে তাতে তো অবাক হওয়ার কিছু নেই। একে তো খেলেই যাচ্ছেন, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে ২০১৬ সালে তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ মিলিয়ন ডলার। বার্ষিক পারিশ্রমিক ৩.১ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় রুপিতে যার পরিমাণ প্রায় ৩০৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭০০।বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কারণে প্রতি মিনিটে কোহলির আয় দাঁড়াচ্ছে ৫ হাজার ৮১১ রুপি। ভারতীয় মুদ্রায় এই চ্যাম্পিয়ন ব্যাটসম্যানের মাসিক আয় ২৫,৪৫,৩১,২২৫ রুপি।ক্রিকেটের পরে বিরাট কোহলির পছন্দের খেলা ফুটবল। সারা ভারতে যাতে ফুটবলের প্রসার ঘটে, সেই উদ্যোগও নিয়েছেন কোহলি। সব অর্থেই ভারতের তারকা ক্রিকেটার কিন্তু চ্যাম্পিয়ন।আইএইচএস/বিএ
Advertisement