চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে অক্টোবর মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। ইতোমধ্যে সেতুর সংস্কারকাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ হবে।
Advertisement
গতকাল মঙ্গলবার সেতুর সংস্কারকাজ পরিদর্শন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শক দল। পরামর্শক দল সেতুর সংস্কারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, ‘কালুরঘাট ব্রিজের সংস্কার কাজের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দল সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত অল্প কিছু কাজ বাকি আছে। এসব কাজ এ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি চলচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’
বুয়েট বিশেষজ্ঞ টিমের প্রধান বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল আমীন বলেন, ‘সেতুর কিছু কাজ বাকি আছে। আমরা কাজের ধাপ অনুযায়ী তালিকাটি বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে পাঠাবো। ওই কাজগুলো শেষ হলেই সড়ক যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা হবে।’
Advertisement
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে নির্মিত হয় কালুরঘাট রেলসেতু। ১৯৬২ সালে যান চলাচল শুরু হয়। এর আগে দুবার সংস্কার করা হয়েছিল। কালুরঘাট রেলসেতুর বয়স এখন ৯৩ বছর। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুতে বড় ধরনের সংস্কার কাজের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল। কাজ শুরু হয় গত বছরের ১ আগস্ট থেকে। এ জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে ৪৩ কোটি টাকার চুক্তি করে রেল।
চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অর্থছাড় জটিলতা, বৃষ্টিসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় সেতুর সংস্কারকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু খুলে দেওয়া না হলেও গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সেতুতে যানবাহন চলাচল করছে ইচ্ছেমতো।নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেতুতে উঠে দুর্ঘটনাও ঘটেছে কয়েকবার।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর দাঁড়িয়ে প্রায় শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু। বোয়ালখালী উপজেলা ও পটিয়ার একাংশের কয়েক লাখ মানুষের শহরে যাতায়াতের মূল মাধ্যম এই সেতুটি। ২০২৩ সালের ১ আগস্ট সংস্কারের জন্য সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধের প্রথমদিন থেকেই মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
Advertisement
এএজেড/জেএইচ/এএসএম