পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে হেরে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। যে কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি ইংলিশদের জন্য ছিল সিরিজ বাঁচানোর। এই ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। হ্যারি ব্রুকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৪৬ রানের জয় পায় স্বাগতিকরা।
Advertisement
অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেটে করা ৩০৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৭.৪ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৪ রান করে ফেলে ইংল্যান্ড। এরপর শুরু হয় সেস্টার লি স্ট্রিটের আকাশ থেকে পড়তে শুরু করে ভারী বর্ষণ।
অতিবৃষ্টির কারণে ম্যাচ চালু করার মতো অবস্থা ছিল না। অবশেষে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির শরণাপন্ন হন আম্পায়াররা। তারা হিসেব করে দেখেন, ওই মুহূর্তে ইংল্যান্ড এগিয়ে আছে ৪৬ রানে।
মঙ্গলবার সেস্টার লি স্ট্রিটে টস হেরে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। ৬৫ বলে ৭৭ রানের (৭ চার ১ ছক্কা) হার না মানা ইনিংস খেলেন ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা অ্যালেক্স ক্যারে। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম হাফসেঞ্চুরি এটি।
Advertisement
৮২ বলে ৬০ রান করেন স্টিভেন স্মিথ। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৪তম ফিফটি। এছাড়া অপ্রত্যাশিত রানআউটের আগে ২৬ বলে ৪৪ রান করেন অ্যারন হার্ডি। ৪৯ বলে ৪২ রান করেন ক্যামেরন গ্রিন।
শেষদিকে ২৫ বলে ৩০ রান যোগ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এতে অসিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৩০৪ রান।
৩০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। দলীয় ১১ রানে ২ ওপেনারকে হারায় ইংলিশরা। ০ রানে আউট ফিল সল্ট। ৮ রানে সাজঘরে বেন ডাকেট।
এরপর তৃতীয় উইকেটে উইল জ্যাকসকে নিয়ে ১৫৬ রানের বিশাল জুটি করেন ব্রুক। এই জুটিতেই মূলত এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৮২ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে ফেরত যান জ্যাকস। ক্যামেরন গ্রিনের বলে শন অ্যাবটের হাতে জ্যাকস ধরে পড়লে জুটি ভাঙে।
Advertisement
১৬ বলে ৭ রান করে আউট হয়ে যান জেমি স্মিথ। এরপর পঞ্চম উইকেটে বৃষ্টি নামার আগ পর্যন্ত ৫৭ রানের অপরাজিত জুটি নিয়ে খেলছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন ও ব্রুক।
৯৪ বলে ১১০ রানে অপরাজিত ছিলেন ব্রুক। ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ট অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ২৫ বছর ২১৫ দিন বয়সে এই রেকর্ডটি করেন তিনি। আর ২০ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন লিভিংস্টোন।
এমএইচ/জেআইএম