প্রায় আট কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফরিদপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ঝর্ণা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের যশোর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন।
ঝর্ণা ইয়াসমিনের নামে দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে আট কোটি ৬০ লাখ ১৯ হাজার ৯ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দেন। তিনি অবৈধভাবে ৭ কোটি ২৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন।
ঝর্ণা ইয়াসমিন অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও নিজ ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন এবং তার স্বামী অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম ওই সম্পদ অর্জনে স্ত্রীকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
Advertisement
দ্বিতীয় মামলাটি করা হয় ফরিদপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়, তিনি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩৮ লাখ ২৫ হাজার ৮৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং অবৈধভাবে ৭০ হাজার ৫০০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ও ঝর্ণা দম্পতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে। ঝর্ণা ইয়াসমিন নিজ নামে গোপালগঞ্জে একটি বাড়ি, যশোর পৌরসভায় দুটি বাড়ি ও দোকান, রাজশাহীতে একটি বাড়ি ও ঢাকার মিরপুর এলাকার সেনপাড়া পর্বতা মৌজায় একটি ফ্ল্যাট এবং ১২টি দলিল মূলে কেনা ৪২৯ দশমিক ৫৪৪ শতক জমি এবং উপহার হিসেবে পাওয়া ৯০ ভরি সোনার কথা উল্লেখ করেছেন।
এসএম/এমকেআর/এএসএম
Advertisement