জাতীয়

চবি শিক্ষার্থীকে গুলি: হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা

৪ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে গুলির ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৭৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলায় ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাফহীমুল ইসলাম (২৬)।

মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু, নোমান আল মাহমুদ, মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মুজিবর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

আরও পড়ুন: ‘গুজবনির্ভর’ আওয়ামী লীগ, গোলকধাঁধায় নেতাকর্মীরা

কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১০০০-১২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

Advertisement

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে থাকা সক্রিয় শিক্ষার্থীদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘রাজাকার’ সম্বোধন করলে আন্দোলনরত ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দেন। এর আগে গত ১০ জুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দমন করতে ছাত্রলীগকে নির্দেশনা দেন। এরপর ১৬ জুলাই সারাদেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে।

গত ৪ আগস্ট নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, কিরিচ, হকিস্টিক, রামদা নিয়ে হামলা করেন। এছাড়া অভিযুক্তরা ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। গুলিবর্ষণের একপর্যায়ে মামলার বাদী তাফহীমুলের ডান হাতের কব্জিতে গুলি লাগে, যা হাতের এক পাশে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে তাকে তার সহপাঠীরা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসা করান। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এএজেড/এমএইচআর/এএসএম

Advertisement