অর্থনীতি

শেয়ারবাজারে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঢালাও দরপতন

দেশের শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দামে ঢালাও দরপতন হয়েছে। এরপরও বেড়েছে মূল্যসূচক। যদিও শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে সবশেষ কার্যদিবস দাপট দেখায় এসব খাত।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার আড়াইগুণের বেশি। এরপরও বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়াতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে গ্রামীণফোন ও ইসলামী ব্যাংক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে সিএসইতে কমেছে মূল্যসূচক। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

Advertisement

তবে প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই ব্যাংক ও নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ঢালাওভাবে কমতে থাকে। যার প্রভাব পড়ে অন্য খাতের ওপরও। ফলে দেখতে দেখতে বড় হয়ে যায় দাম কমার তালিকা।

আরও পড়ুন

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার ফের বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ভার্চুয়ালি পর্ষদ সভা নয়

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে ৯৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬২ প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে ব্যাংক খাতের মাত্র ৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং ২৮টির দাম কমেছে। আর্থিক খাতের ৮টির শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং ১৫টির দাম কমেছে।

এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১০৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

Advertisement

সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৭৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৯ কোটি ৯৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৯৩ টাকার। ৩৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লিন্ডে বাংলাদেশ।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইবনে সিনা, ইসলামী ব্যাংক, একমি ল্যাবরেটরিজ, সোনালী আঁশ, রবি, টেকনো ড্রাগস এবং ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৮টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এমএএস/কেএসআর/এমএস