গরু গোসল করাতে নদীতে গিয়েছিলেন মা-মেয়ে। একপর্যায়ে গরুর রশি পায়ে পেঁচিয়ে মেয়ে নদীতে পড়ে গেলে মেয়েকে বাঁচাতে মা নদীতে ঝাঁপ দেন। স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও মারা যান মা।
Advertisement
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের কানিয়াইল এলাকার সোমেশ্বরী নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রেজিয়া খাতুন (৬০) ওই উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের কানিয়াইল গ্রামের আব্দুল জলিলের স্ত্রী। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেজিয়া খাতুনের মেয়ে মিম (১১)।
স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে গরুকে গোসল করানোর জন্য বাড়ির পাশে সোমেশ্বরী নদীতে যান রেজিয়া খাতুন। সঙ্গে গিয়েছিল মেয়ে শিশু মিম। গরুকে গোসল করানোর একপর্যায়ে গরুর রশি পায়ে পেঁচিয়ে নদীর পানিতে পড়ে যায় মিম। এসময় মেয়েকে বাঁচাতে মা রেজিয়া খাতুনও ঝাঁপিয়ে পড়লে পানিতে ডুবে যান তারা। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রেজিয়া খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
Advertisement
নিহতের ভাই জালাল উদ্দিন বলেন, মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়েছে। রেজিয়া খাতুনের অন্য ছেলে-মেয়েরা ঢাকায় থাকেন। তারা আসলে মরদেহ দাফন করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, মা-মেয়ে পানিতে ডুবার ঘটনায় স্থানীয়রা দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে একজনকে মৃত অবস্থায় পাই। এ ঘটনায় শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, এমন ঘটনার সংবাদ আমাদের কাছে আসেনি।এইচ এম কামাল/কেএসআর
Advertisement