ক্যাম্পাস

একাডেমিক সংস্কার চেয়ে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের একাংশের ক্লাস বর্জন

পরীক্ষা পদ্ধতি এবং একাডেমিক সংস্কারসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীদের একাংশ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তবে ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

Advertisement

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ চলাকালীন তারা নানান স্লোগান দেন। এ সময় উপাচার্যের কাছে মিড সিস্টেম চালু, ল্যাব খাতা লেখার প্রচলন বাতিল, দুইটি মেকআপ সিস্টেম চালুসহ সাত দফা সম্বলিত স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন৮৩ দিন পর ক্লাসে ঢাবি শিক্ষার্থীরা, ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত 

তবে শিক্ষার্থীদের একাংশ মিডটার্ম সিস্টেম চালুর আন্দোলন করলেও অন্যদল বিভিন্ন দাবিতে বিরোধিতা করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যেমে কেউ কেউ দুই ক্লাস টেস্টের সুবিধা ও মিডটার্মের অসুবিধা তুলে ধরেছেন। তারা বলছেন, শেকৃবিতে একটি সিটির সিলেবাস অনেক বেশি। সেখানে দুইটি সিটি একত্রে মিডটার্ম পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়া বেশ কষ্টসাধ্য।

Advertisement

ইফতেখার জাহিদ ইভান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এক মেকআপেই পরীক্ষা নিতে ১৫ থেকে ২০ দিন লেগে যায়। আবার ২টা মেকআপের দাবি কখনোই সমীচীন নয়। এর চেয়ে ভালো ক্যারি সিস্টেম চালু করা।

আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ সেখানে উপস্থিত হয়ে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিল থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে অফিস আদেশ আসবে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

তাসমিন আহমেদ তানিম/কেএসআর

Advertisement