দেশজুড়ে

বেনাপোলে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ফের সাড়ে ৬টায়

বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্ট কার্যক্রম ফের ভোর সাড়ে ৬টায় থেকে চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার থেকে নতুন সূচিতে কারর্যক্রম শুরু হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ আব্দুল হাফিজ বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগে ভোর সাড়ে ৬টার ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হতো। অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সেটি ৭টার করা হয়। এতে পাসপোর্টধারীদের ভোগান্তি বেড়েছিল। দূরপাল্লার পরিবহন ভোর ৪টা-৫টার মধ্যে চেকপোস্টে চলে আসে। তখন থেকে যাত্রীরা লাইনে দাঁড়ান। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় অনেক বৃদ্ধ-নারীসহ শিশুদের কষ্টের সীমা থাকে না। এসব বিবেচনায় আবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এতে যাত্রীদের মনে স্বস্তি ফিরেছে।

সংশ্লিস্ট সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে (১৩-১৯ সেপ্টেম্বর) ৩৩ হাজার ৮৯৬ দেশি-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করেছে। এর মধ্যে ভারতে গেছেন ১৬ হাজার ৮৫৭ জন। যার মধ্যে বাংলাদেশি ১৩ হাজার ৮৫৯, ভারতীয় দুই হাজার ৯৮৯ ও অন্যান্য দেশের ৯ জন রয়েছেন।

Advertisement

একই সময়ে ভারত থেকে এসেছেন ১৭ হাজার ৩৯ জন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ১৪ হাজার ৪৪৫, ভারতীয় দুই হাজার ৫৮৭ ও অন্যান্য দেশের ৭ জন।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযহারুল ইসলাম জানান, কোনো অপরাধী যাতে ভারতে পালাতে না পারে সে লক্ষ্যে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইমিগ্রেশন পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন পাসপোর্টধারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যাত্রীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারে সে বিষয়ে সবাই আন্তরিক হয়ে কাজ করছেন।

এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্টের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিভিন্ন অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় ইমিগ্রেশনে। পুলিশ-বিজিবির পাশাপাশি সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সন্দেহভাজন পাসপোর্টধারীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে। এতে এমনিতেই দীর্ঘ সময় লাগছে যাতায়াতে। এর মধ্যে আবার নানান অজুহাত দেখিয়ে পাসপোর্ট-কার্যক্রম ভোর সাড়ে ৬টার পরিবর্তে সকাল ৭টার পরে শুরু করায় যাত্রী ভোগান্তি বেড়েছিল।

এএইচ/জিকেএস

Advertisement