বাঙালি সংস্কৃতির একটা বড় অংশ জুড়ে আছে নদী। সেই নদী আজ দূষণে বিপন্ন। দূষণ থেকে নদী বাঁচাতে ‘নদী আমার মা’ শীর্ষক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে এনার্জি প্যাক বাংলাদেশ।
Advertisement
এই কর্মসূচির আওতায় নদী থেকে বর্জ্য উত্তোলন এবং উত্তোলন করা বর্জ্য স্থানীয় পৌরসভার সঙ্গে সমন্বয় করে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব নদী দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘আন্তঃসীমান্ত নদীতে বাংলাদেশের অধিকার।’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনার দাকোপে পশুর নদ ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
এই কর্মসূচিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হাজারো মানুষ সংযুক্ত হয়েছেন। স্থানীয় মানুষদের সচেতন করতে নিয়মিত প্রচারণাও চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
Advertisement
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশিদ বলেন, দখল বন্ধ ও নদী রক্ষায় আমরা সবসময় সচেষ্ট। শুধু দিবসকেন্দ্রিক না, বছরজুড়ে এমন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ কর্মসূচি আরও বেশিসংখ্যক নদী ও এলাকায় বিস্তৃত করা হবে। নদী থেকে বর্জ্য সংগ্রহে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করা হবে।
এনার্জিপ্যাক বাংলাদেশ তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) আওতায় নদী ও নদী তীরবর্তী অবকাঠামো সুরক্ষিত রাখতে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নদীকে বিলুপ্তি থেকে বাঁচাতে এই বিশেষ সিএসআর কর্মসূচি নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
‘নদী আমার মা’ কর্মসূচির সূচনা হয়েছিল খুলনার দাকোপে অবস্থিত জি-গ্যাস এলপিজি প্ল্যান্ট এলাকা থেকে। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ মেট্রিক টনেরও বেশি বর্জ্য উত্তোলন ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও জি-গ্যাস স্যাটেলাইট প্ল্যান্ট রূপগঞ্জে প্রতি মাসের প্রথম শনিবার নদী পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করে। এখান থেকে এ পর্যন্ত ৫ টন বর্জ্য উত্তোলন ও নিষ্কাশন করা হয়েছে।
এসআইটি/জেআইএম
Advertisement