খেলাধুলা

সাকিব-লিটনকে দোষ দিতে নারাজ বাশার

চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের আউট নিয়ে অনেক ক্রিকেটভ্ক্ত প্রশ্ন তুলেছেন। তোলাও স্বাভাবিক। কারণ, সাকিব আর লিটন যেভাবে আউট হয়েছিলেন সেটি তাদের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত।

Advertisement

ভক্তদের আরও এক সমালোচনা হলো- ভারতীয় স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার বলে লিটন-সাকিব আউট হওয়ার কারণেই এক তাড়াতাড়ি (১৪৯ রানে) গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

সমর্থকদের আক্ষেপ, কঠিন বিপদে পড়ে লিটন ও সাকিবের হাত ধরেই উঠে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখেছিল বাংলাদেশ। ৪০ রানে ৫ উইকেটের পতনের পর ষষ্ঠ উইকেটে দুই ব্যাটার ধীরে-ধীরে ইনিংসকে মেরামত করার পথে খানিকটা এগিয়েও গিয়েছিলেন।

একটা সময় মনে হচ্ছিল, পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর যেভাবে লিটন আর মেহেদী হাসান মিরাজ শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন, চেন্নাইতেও ঠিক সেই কাজ করতে যাচ্ছেন লিটন ও সাকিব।

Advertisement

কিন্তু না। জুটিতে ৫১ রান যোগ হওয়ার পর পরই আউট হয়ে গেলেন লিটন। রবীন্দ্র জাদেজার বলে সুইপ করতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ তুলে দেন ডানহাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। ডিপ মিড-উইকেটে একজন ফিল্ডার ওঁৎ পেতে থাকার পরও ওই শট খেলাকে সবাই অদূরদর্শী ও চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ বলে মনে করছেন।

একই ভুল করেছেন সাকিবও। লিটন করেছিলেন সুইপ। সাকিব আরও ঝুঁকি নিয়ে রিভার্স-সুইপ খেলতে গিয়ে ভারতীয় উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।

ওই দুটি অপ্রয়োজনীয় ও ওয়ানডে -টি টোয়েন্টি ধারার শটই বাংলাদেশের ফলোঅন এড়ানোর পথ রুদ্ধ হয়েছে, এমন মতামতই অনেক ভক্তের। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের বিচার-বিশ্লেষণ অন্যরকম। শুধু লিটন ও সাকিবের ওপরই সব দোষ চাপাতে নারাজ তিনি। হাবিবুল বাশার সুমন মনে করেন, আসল সর্বনাশ হয়েছে ৪০ রানে ৫ উইকেট পতনের সময়ই। লিটন ও সাকিবের ভুল শটের কারণেই যে বাংলাদেশ ব্যাকফুটে চলে গেছে, ব্যাপারটা তেমন নয়।

বাশারের ব্যাখ্যা, ‘শুধু সাকিব আর লিটনকে দায়ী করা উচিত হবে না। তার আগে চার টপঅর্ডা রান করেননি। কারো নাম ধরে বলতে চাই না। আমাদের টপ ও মিডলঅর্ডার রান করেনি, সেটাই বড় ধাক্কা। এজন্যই ব্যাটিংয়ের এই করুণ দশা। পুরো ব্যাটিং অর্ডারই ব্যর্থ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবাই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।’

Advertisement

সাবেক টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ৪০০’র নিচে হলে সুযোগ থাকতো। মানে সাড়ে তিনশোর আশেপাশে থাকলেও হয়তো একটা প্র্যাকটিক্যাল সুযোগ থাকতো। কিন্তু লক্ষ্য ৪০০’র বেশি হয়ে গেলে চতুর্থ ইনিংসে এই উইকেটে সে লক্ষ্যের পিছু ধেয়ে কিছু করা হবে অসম্ভব ব্যাপার।’

এআরবি/এমএইচ/এমএস