দেশজুড়ে

শিশু তাসনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

যশোরের বাঘারপাড়ার পাঁচ বছরের শিশু তাসনিয়ার মৃত্যুর রহস্য জানা গেছে। ঘটনার তিন মাস পর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শিশুটিকে ধর্ষণ শেষে নাক-মুখ চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

Advertisement

মেয়েটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০ জুলাই দুপুর ১২টার সময় নিখোঁজ হয় তাসনিয়া। এরপর এলাকায় মাইকিং, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে ও আশপাশে বিভিন্ন পুকুরে মাছ ধরা জাল টেনেও তাসনিয়ার খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরের দিন ২১ জুলাই ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির পাশে রাজ্জাক খাঁর পুকুরে তাসনিয়ার লাশ ভেসে থাকতে দেখা যায়।

একই দিন বাঘারপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল শিশুটি পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে মারা গেছে।

ঘটনার সময় বাঘারপাড়া থানার এসআই জামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন এবং মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে যশোরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বাঘারপাড়া থানায় এসে পৌঁছায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ভিকটিমকে নাক-মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং মৃত্যুর আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। নিহতের পিতা রজিবুল ইসলাম ১৬ সেপ্টেম্বর বাঘারপাড়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।

নিহতের বাবা রজিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমার দুই মেয়ে এক ছেলে। তাসনিয়া আমার ছোট মেয়ে। সে অনেক চটপটে ছিল। ঘটনা বলে দিতে পারে আসামিরা বুঝতে পেরে মেয়েটিকে হত্যা করে রাতের যে কোনো সময় পানিতে ফেলে দেয়। আমি এ নির্মম হত্যার বিচার চাই।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকিবুজ্জামান জানান, আসামি শনাক্ত করা যায়নি। দ্রুতই ঘটনা উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার হবে। অপরাধী ধরতে পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই, র্যাব, ডিবি ও সিআইডি কাজ করছে।

মিলন রহমান/জেডএইচ/এমএস

Advertisement