দেশজুড়ে

স্লুইসগেট বন্ধ করে প্রভাবশালীর মাছচাষ, প্লাবিত ১৫০০ একর জমি

খালের পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। তবে সেই স্লুইসগেট বন্ধ করে মাছ চাষ করছেন কতিপয় প্রভাবশালী। ফলে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী ও জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ১০টি মাঠের প্রায় এক হাজার ৫০০ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

ফসলের মাঠ থেকে দ্রুত পানি অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরের প্রবেশপথে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে কৃষক শাজাহান প্রামাণিক, রাসেল, মোহাম্মদ আলী ও আবু বক্কার বলেন, জগন্নাথপুর ইউনিয়নের এদ্রাকপুর ফকির তলা-মহেন্দ্রপুর-জোতপাড়া খাল দিয়ে মাঠের পানি পদ্মা নদীতে গিয়ে পড়ে। পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি স্লুইসগেট নির্মাণ করে সরকার। কিন্তু কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি গেট বন্ধ করে এবং খালের বিভিন্ন অংশে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। এতে পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় অন্তত ১০টি মাঠের এক হাজার ৫০০ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়েছে। দ্রুত পানি অপসারণ না করা গেলে কয়েক কোটি টাকার ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলাদি নষ্ট হয়ে যাবে। তারা দ্রুত পানি অপসারণের দাবি জানান।

জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ আলী শেখ বলেন, স্লুইসগেট বন্ধ করে এবং খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় ফসলি জমি ও ঘরবাড়িতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে এলাকায় ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। পানি অপসারণের জন্য ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

Advertisement

এ বিষয়ে ইউএনও এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, এবার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ফসলের ক্ষেত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জনপ্রতিনিধি, কৃষকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা হচ্ছে।

আল-মামুন সাগর/এসআর/জেআইএম