গ্রিস একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দেশ। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করে। গ্রিস মূলত প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার জন্য বিখ্যাত, যেখানে দর্শন, গণিত ও নাটকের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। গ্রিসের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে অ্যাক্রোপলিস, দেলফি, অলিম্পিয়া উল্লেখযোগ্য।
Advertisement
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত গ্রিসে প্রতিবছরই লাখ লাখ পর্যটক ভিড় করেন। সেখানকার সান্তোরিনি, মাইকোনোস, ক্রিটের সৌন্দর্য ও স্বচ্ছ সমুদ্র দেখার জন্য পর্যটকরা মুখিয়ে থাকেন। গ্রিসের পাহাড় ও উপত্যকার মধ্যে মন্ট পারনাসস ও থেসালি হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান।
গ্রিসের সান্তোরিনি ভ্রমণে আপনি যেমন দেখতে পাবেন সাদা বাড়ি ও নীল গম্বুজ, সূর্যাস্ত ও পরিষ্কার সমুদ্র। ঠিক একইভাবে মাইকোনোস গিয়ে বিচ, সমুদ্রের পানির ও নাইটলাইফ উপভোগ করতে পারবেন প্রাণভরে।
অন্যদিকে গ্রামীণ পরিবেশ উপভোগে যেতে পারেন থেসালি। যেখানে পাহাড় ও সবুজ উপত্যকায় ঘেরা ছোট ছোট গ্রাম দেখে আপনার নয়ন জুড়িয়ে যাবে। এমনকি মন্টেনেগ্রোর শান্ত পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আপনি মুহূর্তেই হারিয়ে যাবেন।
Advertisement
গ্রিসের সৌন্দর্য মূলত তার প্রাকৃতিক দৃশ্য, ঐতিহাসিক স্থান ও সংস্কৃতির মিশ্রণে। এটি প্রতিটি ভ্রমণকারীর জন্য একটি স্বর্গ। গ্রিস ভ্রমণের সবচেয়ে সেরা সময় হলো গ্রীষ্মকাল (জুন থেকে সেপ্টেম্বর), তবে বসন্ত (এপ্রিল-মে) ও শরতও (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) উপভোগ্য হতে পারে।
গ্রিসের এথেন্স ভ্রমণের সেরা ৫ স্থানদ্য অ্যাক্রোপলিস
এথেন্স ভ্রমণ অ্যাক্রোপলিস পরিদর্শন ছাড়া সম্পূর্ণ হবে না। সেখানকার প্রাচীন দুর্গগুলো ইতিসারে সাক্ষ্য দেয় আজও। পার্থেনন, ইরেকথিওন ও অ্যাথেনা নাইকির মন্দিরের মতো আইকনিক কাঠামোর বাড়ি ও ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলো সত্যিই দমবন্ধ করার মতো অনুভূতি জোগাবে।
প্লাকা
Advertisement
অ্যাক্রোপলিসের পাদদেশে অবস্থিত, প্লাকা হলো এথেন্সের পুরানো এলাকা। এর সরু, ঘুরানো রাস্তা, প্রাণবন্ত বোগেনভিলিয়া ও নিওক্লাসিক্যাল স্থাপত্য দেখে আপনি প্রাশন্ত হবেন।
আরও পড়ুন
‘হুরাসাগরে’ পর্যটকদের ঢল সহজেই ভিসা পাওয়া যায় এশিয়ার ৪ দেশেরপ্রাচীন আগোরা
একসময় এথেনীয় জনজীবনের প্রাণকেন্দ্র ছিল স্থানটি। প্রাচীন আগোরার ইতিহাস জানতেও অনেকেই ভিড় করেন স্থানটিতে। সেখানকার মন্দির, স্টোয়াস ও পাবলিক ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে পারবেন আপনি।
মাউন্ট লাইকাবেটাস
এথেন্সের অত্যাশ্চর্য প্যানোরামিক দৃশ্য দেখতে আপনাকে ওঠতে হবে শহরের সর্বোচ্চ পয়েন্ট মাউন্ট লাইকাবেট্টাসে। এই পর্বতে উঠলে বিস্তৃত শহর ও এজিয়ান সাগরের সৌন্দর্য দেখে আপনি মুগ্ধ হবেন।
সিন্টাগমা স্কয়ার ও সংসদ ভবন
সিন্টাগমা স্কোয়ার হলো আধুনিক এথেন্সের প্রাণকেন্দ্র। সেখানে আপনি হেলেনিক পার্লামেন্টে গার্ড অনুষ্ঠানের পরিবর্তন দেখতে পারবেন, যা প্রতি ঘণ্টায় ঘটে।
গ্রিস ভ্রমণে কী খাবেন?
জিভাস হলো গ্রিক শৈলীর গ্রিল করা মাংস। যা খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া আছে ফালাফেল। চিনি ও মসলা দিয়ে তৈরি ভাজা মসুরের বল যা মুঝিদারা নামে পরিচিত। এটিও খেতে দারুণ। গ্রিসের স্থানীয় খাবারের স্বাদ নিতে এই পদ খেয়ে দেখতে পারেন। এছাড়া সুজুক বা গ্রীক সসেজেরও স্বাদ নিতে পারেন। আর অবশ্যই গ্রিক সালাদের স্বাদ নিতে ভুলবেন না।
গ্রিস ভ্রমণের টিপস
>> স্থানীয় কিছু শব্দ শিখুন ও>> নিরাপত্তা ও স্থানীয় রীতি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
জেএমএস/এমএস