অবশেষে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের অনুরোধ ও নির্দেশনায় টানা ৪২ দিন পরে কাজে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় এক নারী চিকিৎসকে ধর্ষণ ও হত্যার পর থেকে ন্যায়বিচারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
Advertisement
পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্নের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকেদের অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়ার পরেই গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কর্মবিরতি আংশিকভাবে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে গণমাধ্যমের কর্মীদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে সিবিআইয়ের সদর দপ্তর পর্যন্ত মিছিল করার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে। সেসময় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্ৰেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হবে। এরপর শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের জরুরি সেবায় যোগ দেবেন তারা।
জুনিয়র চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যাতে ন্যায়বিচার লাভ করে, সেই দাবিতে লড়াই চলবে। আংশিক কর্মবিরতি চলবে, সব দাবি পূরণ না হলে প্রয়োজনে পূর্ণ কর্মবিরতি আবার চালু হবে। জরুরি বিভাগে যোগ দিলেও, ওপিডি-কোল্ড ওটির ক্ষেত্রে কর্মবিরোতি অব্যাহত থাকবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
Advertisement
গত ৯ আগষ্ট কলকাতার প্রথম সারির মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় এক নারী চিকিৎসকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে আন্দোলন শুরু করেন চিকিৎসক ও জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই আন্দোলনে যোগ দেয় সাধারণ নাগরিক থেকে টলিউডের কলাকুশলীরাও।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কলকাতা পুলিশ এরই মধ্যে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্ৰেফতার করেছে। এরপরেই গত ১২ আগষ্ট কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) হাতে।
তদন্তে নেমেই আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্ৰেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ডিডি/এসএএইচ
Advertisement