অর্থনীতি

দুই ডিজি বহাল থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষোভ

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই বিভিন্ন ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতিবাজ শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন কর্মকর্তারা। বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও। এসময় ৪ জন ডেপুটি গভর্নর, হেড অব বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং নীতি উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানোনো হয়।

Advertisement

আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে তাৎক্ষণিকভাবে ২ জন ডেপুটি গভর্নর, হেড অব বিএফআইইউ ও পলিসি উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন। বাকি ২ জন ডেপুটি গভর্নর পরে পদত্যাগ করবেন মর্মে মৌখিকভাবে সম্মতি দেন।

ব্যাংককর্মীদের আন্দোলন চলাকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শুধু ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারকে পরবর্তী ডেপুটি গভর্নরদের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে তৎকালীন ইডি-১ (বর্তমান ডেপুটি গভর্নর) মো. জাকির হোসেন আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন। তবে নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নুরুন নাহার ও হাবিবুর রহমানকে ডিজি হিসেবে বহাল রেখে দায়িত্ব বণ্টন করেছেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেনের মাধ্যমে গভর্নরের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের নামে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

চিঠিতে বলা হয়, বিগত ১৬ বছরে একনায়ক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতিটি স্তরে নির্যাতন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ্যতার পরিবর্তে দলীয় তোষণনীতির বিবেচনায় অধিকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে তাদের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের রাজনৈতিক বিবেচেনায় নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকর্তা কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের অসন্তুষ্টি ও অনাস্থা প্রকাশ করেছে।

চিঠিতে দাবি জানিয়ে বলা হয়, গত ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিবাদ সভায় কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির দ্বিতীয় অংশ অর্থাৎ পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত অবশিষ্ট ২ জন ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগ-প্রত্যাহার অদ্য ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য তৎকালীন ইডি-১ মহোদয়ের (বর্তমান ডেপুটি গভর্নর) মো. জাকির হোসেনের মাধ্যমে গভর্নরের কাছে নিবেদন পেশ করছে। অন্যথায়, যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়ী থাকবে না।

ইএআর/এসএনআর/জিকেএস

Advertisement