জাতীয়

স্কুলের সামনে র‍্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম নগরের বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত স্কুলের সামনে মূল সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে ‘জিইসি-ওয়াসার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকা বন্ধ করুন’, ‘ভিআইপি উড়াল সেতুতে, আমরা কেন চিপা গলিতে’, ‘এক দফা এক দাবি, র‍্যাম্প নির্মাণ বন্ধ করুন’ লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

শিক্ষার্থীরা জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে র‌্যাম্প নির্মাণকাজের ফলে স্কুলের সামনে সবসময় যানজট দেখা দিচ্ছে। মূল সড়কের দুই-তৃতীয়াংশই ছোট হয়ে গেছে। ফলে প্রতিদিন ক্লাস শুরুর আগে ও পরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া স্কুলের বিপরীত পাশে রয়েছে সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাই স্কুলের সামনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্প নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।

Advertisement

জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে বাওয়া স্কুলের সামনে র‍্যাম্প নির্মাণের আপত্তি জানিয়ে কাজ বন্ধের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত আবেদন করেন স্কুল অধ্যক্ষ।

এ বিষয়ে বাওয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহ. আরিফ উল হাছান চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের ও সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী এই সড়ক হয়ে যাতায়াত করে। ফলে ক্লাস শুরুর আগে ও পরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। র‌্যাম্প নির্মাণ করা হলে যানজট চিরস্থায়ী রূপ নেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই নিয়ে গত মে মাসে নির্মাণকাজ বন্ধ ও বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিডিএ চেয়ারম্যান বরাবরে একটা চিঠি দিয়েছিলাম। এরপরেও কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ চলমান রেখেছে।’

সরেজমিনে দেখা যায়, বাওয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ফটকের সামনে গর্ত খননের কাজ প্রায় শেষ করেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকারী সংস্থা। তারপরও বাকি অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে ধীর গতিতে। কারণ নির্মাণকাজের ফলে ওই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট ছোট অসংখ্য গর্ত, যেখানে পানি জমে থাকায় রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। এ কারণে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। তীব্র যানজটে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।

Advertisement

এএজেড/এমআরএম