ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় আটক তিন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এছাড়া জড়িত অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
Advertisement
আটকরা হলেন- ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া (২৫), মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া (২১) এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন। তিনজনই ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। আটকের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের শাহবাগ থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যদি তাদের কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তবে গ্রেফতার দেখানো হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকে চেষ্টা চলছে।
Advertisement
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ।
মামলার এজাহারে মোহাম্মদ আমানুল্লাহ উল্লেখ করেন, ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে ধরে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মোবাইল চুরির অভিযোগে ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিলঘুসি মারেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
নির্যাতনের ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তোফাজ্জলকে নির্মম নির্যাতন করে শরীর থেকে মাংস খুলে নেয় নির্যাতনকারীরা। তোফাজ্জলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে।
টিটি/এমএএইচ/জিকেএস
Advertisement