সময়টা তখন ১৯৮৭ সাল। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা সদরের মরিচ বাজার এলাকায় চন্দনা-বারাশিয়া নদীর ওপরে নির্মাণ করা হয় একটি সরু সেতু। ওইসময় সেতুটি নির্মাণের ফলে এলাকার মানুষের জীবনমান পরিবর্তন হলেও বর্তমানে তা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। একপাশ দিয়ে ছোট কোনো যান চলার সময় অন্যপাশে অপেক্ষা করতে হয়।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে সরু সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরআগে ওখানে ছিল বাঁশের সাঁকো। সেতুটি হওয়ায় অত্র অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগে দুর্ভোগ লাঘব হয়। কিন্তু সরু সেতুটি এখন অনেকটা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর রেলিং ভেঙে গেছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। সেতুটি এতই সরু যে, এর ওপর দিয়ে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান-রিকশা ছাড়া বড় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে কৃষকদের কৃষি পণ্যসহ ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের মালপত্র এ পথে আনা-নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কয়েক মিনিটের পথ অতিক্রম করতে অন্যদিক দিয়ে ঘুরে যেতে সময় লাগে অন্তত আধাঘণ্টা। বারাশিয়া নদী পার হতে ঘুরতে হয় অন্তত দুই থেকে তিন কিলোমিটার পথ।
স্থানীয় বাসিন্দা হাদিউজ্জামান প্রিন্স জাগো নিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই সেতুর অবস্থা বেহাল। এই জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।’
Advertisement
মধুখালী বাজারের ব্যবসায়ী সুজিত কুমার সাহা জাগো নিউজকে বলেন, ‘সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০ ফুট, প্রস্থ ৮ ফুটের মতো। সরু এ সেতু দিয়ে চলাচল করা খুবই সমস্যা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এখানে নতুন করে বড় সেতু প্রয়োজন।’
সেতুটি দিয়ে বড় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না বলে জানান মধুখালী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন। তিনি বলেন, ‘একপাশ দিয়ে ছোট কোনো যান চলার সময় অন্যপাশের বাসিন্দা ও ছোট যানবাহন চালকদের অপেক্ষা করতে হয়। যানজট ও ভোগান্তি যেন দুই পাড়ের বাসিন্দাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।’
মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, সেতুটি পার হওয়া নিয়ে চালক ও যাত্রীদের মধ্যে প্রায়ই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এখানে একটি নতুন বড় সেতু এলাকাবাসী দীর্ঘদিনের দাবি।
জানতে চাইলে মধুখালী উপজেলা প্রকৌশলী (স্থানীয় সরকার বিভাগ) সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। পৌরসভার মেয়র সেতুর বিষয়টি নিয়ে আমার অফিসে এসেছিলেন। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
Advertisement
এন কে বি নয়ন/এসআর/জেআইএম