দেশজুড়ে

সাতদিন ধরে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছেন বিএনপি নেতা

বরিশালের তালতলী থেকে মেহেন্দীহঞ্জের পাতারহাট রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।

Advertisement

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে গত সাতদিন ধরে এই রুটে স্পিডবোট চলছে না। বৃহস্পতিবারও (১৯ সেপ্টেম্বর) স্পিডবোট বন্ধ দেখা যায়।

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বরিশাল সদর উপজেলা শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব ও ইউপি সদস্য মোকলেছুর রহমান। তবে তিনি দাবি করেন, স্পিডবোট চলায় নদীর পাড় ভেঙে যায়। তাই এলাকাবাসী এটি বন্ধ করেছে।

স্পিডবোট মালিক ও চালকরা অভিযোগ করেন, ক্ষমতার পালাবদলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা চাঁদার জন্য এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন।

Advertisement

তালতলী-পাতারহাট নৌ রুটের স্পিডবোট চালক মো. সুজন বলেন, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে তালতলী থেকে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় মোকলেছ মেম্বর লোকজন নিয়ে বাধা দেন। আমাকে কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে পেটান। এসময় মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিনের বোটও আটকে দেওয়া হয়।

সুজন আরও বলেন, এ রুটে ৬২টি বোট চলে। প্রতি ট্রিপে ৩০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। বিএনপি নেতা মোকলেছসহ অন্যরা এ রুট দখলের জন্য এসব করছেন।

পাতারহাট ঘাটের স্পিডবোটের দায়িত্বে থাকা আলম হোসেন বলেন, এই খাল দিয়ে আগেও স্পিডবোট চলাচল করেছে। তখন তো নদী ভাঙনের কথা ওঠেনি। তখন বাধাও দেওয়া হয়নি, এখন কেন দেওয়া হলো তা বুঝতেছি না।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা মোকলেছুর রহমান বলেন, এলাকাবাসীর দাবি স্পিডবোট দ্রুত চলায় পাড় ভেঙে যায়। তাই এলাকাবাসী বোট চলাচল বন্ধ করেছে। ইউএনও’র বোটও আটকে দিয়েছে তারা। তবে চাঁদা চাওয়া কিংবা বাধা দেওয়ার সঙ্গে আমি জড়িত নই।

Advertisement

এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বর স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছে স্পিডবোট ব্যবসায়ী ও চালকরা। স্মারকলিপিতে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছেন। একই সঙ্গে ঘাটটির বৈধ ইজারা দাবি করেছেন।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে স্পিডবোট চালকরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। ওই ঘাটটি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আর চাঁদাবাজির বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।

শাওন খান/জেডএইচ/জিকেএস