ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য প্রতিষ্ঠান সিনহা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সব পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা সিইওর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুরোধ জানাবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
Advertisement
একই সঙ্গে তাদের সব ব্যাংক হিসাবের উত্তোলন বন্ধ করতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দেবে বিএসইসি। পাশাপাশি বিও হিসাব অবরুদ্ধ করতে সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে নির্দেশনা দেবে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯২১তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন সভা শেষে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, কমিশন সভায় কনসোলিডেটেড কাস্টমারস অ্যাকাউন্টের ঘাটতি পূরণের জন্য সিনহা সিকিউরিটিজের সময় বৃদ্ধির আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২২ মার্চ ২০২২ তারিখে ইস্যু করা কমিশনের নির্দেশনা নম্বর বিএসইসি/এসআরআই/সিসিএ/ডিএসই/২০২১/২১২ এ উল্লেখিত সব শর্ত পুনরায় আরোপ করা হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া সিনহা সিকিউরিটিজের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকদের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক/সিইওর সব ব্যাংক হিসাবের উত্তোলন বন্ধ করার জন্য বিএফআইইউকে চিঠি দেওয়া, এই ব্যক্তিদের সব বিও হিসাব অবরুদ্ধ করতে সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে নির্দেশনা দেওয়া এবং আলোচ্য স্টক ব্রোকার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকদের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক/সিইওর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুরোধপত্র পাঠানো হবে। একই সঙ্গে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের জন্য সিনহা সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে অ্যানসোর্সমেন্ট কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এর আগে ৯২০তম কমিশন সভায় ধানমন্ডি সিকিউরিটিজের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকদের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক/সিইওর সব ব্যাংক হিসাবের উত্তোলন বন্ধ করার জন্য বিএফআইইউকে চিঠি দেওয়া, এই ব্যক্তিদের সব বিও হিসাব অবরুদ্ধকরণের জন্য সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে নির্দেশনা দেওয়া এবং আলোচ্য স্টক ব্রোকার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকদের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক/সিইওর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুরোধপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ কনসোলিডেটেড কাস্টমারস অ্যাকাউন্ট’র ঘাটতি পূরণ করেছে এবং ভবিষ্যতে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করবে না মর্মে অঙ্গীকার করেছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক/সিইওর বিরুদ্ধে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিএসইসির মুখপাত্র জানান, চলতি বছরের ৯ জুন অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় সিডব্লিউটি প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড’র খসড়া ট্রাস্ট ডিড এবং খসড়া ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট অনুমোদন দেওয়া হয়।
Advertisement
এরপর এ সংক্রান্ত প্রকাশিত বিভিন্ন বিরূপ তথ্য থাকায় সিডব্লিউটি প্রাইভেট ইক্যুইটি লিমিটেডের অধীনে পরিচালিত সিডব্লিউটি প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ডের নিবন্ধন সনদ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এছাড়া সিডব্লিউটি প্রাইভেট ইক্যুইটি লিমিটেডের অধীনে পরিচালিত চারটি ফান্ডের ইনকোয়ারি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কমিশন সভায়।
এমএএস/এমকেআর/জিকেএস