আন্তর্জাতিক

ভারতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলো ‘এক দেশ এক ভোট’ প্রস্তাব

আলাদাভাবে নয়, একসঙ্গেই হবে লোকসভা, বিধানসভা ও আঞ্চলিক সরকার নির্বাচন। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ শীর্ষক প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। পার্লামেন্টের শীতকালীন অধীবেশনেই এই প্রস্তাবনা পেশ করা হতে পারে এবং চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে লোকসভার চার ভাগের তিনভাগের সমর্থন লাগবে।

Advertisement

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিজেপির দাবি, যদি একইসঙ্গে সব নির্বাচন করা যায় তাহলে দেশের অর্থ বাঁচবে। বিষয়টি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।

ভারতে যখন নির্বাচন হয়, তখন সাধারণ মানুষ তাদের নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে যান। এতে দেশের উৎপাদন ব্যহত হয়। এছাড়া আলাদাভাবে নির্বাচন করায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরও বারবার মোতায়েন করতে হয়। সব মিলিয়ে অনেক অর্থ খরচ হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখা ও অর্থ অপচয় ঠেকাতে লোকসভা, বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ও পৌরসভা-পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন একসঙ্গে করা উচিত। ১০০ দিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব নির্বাচন শেষ করা গেলে দেশের বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে। উন্নয়নের কাজও ব্যাহত হবে না।

Advertisement

তবে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ অন্তত ১৫টি দল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। লোকসভায় ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ প্রস্তাবটি পাস হবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কারণ এই নীতি চালু করতে গেলে আগে সংবিধান সংশোধন করা প্রয়োজন হবে। সেজন্য এই প্রস্তাবের পক্ষে দুই–তৃতীয়াংশের সমর্থন দরকার হবে। সেই সমর্থন বিজেপি ও তার সহযোগীদের নেই। আবার সংবিধানের সংশোধন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত বিধানসভাতে পাস করানোও বাধ্যতামূলক।

বর্তমানে কয়েকটি রাজ্যে লোকসভার প্রায় একই সঙ্গে রাজ্যসভার নির্বাচন হয়। যদি প্রস্তাবটি পাস হয় তাহলে ২০২৯ সাল থেকে সারাদেশে একসঙ্গে নির্বাচন হবে।

সূত্র: এনডিটিভি, দ্য ইকোনমিক টাইমস

এসএএইচ

Advertisement