মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ছয়জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ হাজার ৭৯ জন।
Advertisement
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৮৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছেন ৩৯৩ জন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১২১ জন, বরিশালে ৪৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪৫ জন, খুলনায় ৯৪ জন, ময়মনসিংহে ১৮ জন, রাজশাহীতে ২০ জন ও রংপুরে ২৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২১ হাজার ৭৯ জন। যাদের মধ্যে ৬৪ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
Advertisement
গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৃত ১১৯ জনের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ নারী এবং ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ।
আরও পড়ুন ডেঙ্গুর ধরন কয়টি, কোনটি বেশি মারাত্মক? একদিনে ডেঙ্গুতে ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে রেকর্ড ৮৭২ জনপ্রতিবছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই বছর চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
Advertisement
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
এএএম/কেএসআর/জিকেএস