জাতীয়

হারানো এনআইডি তুলতে জিডির বাধ্যবাধকতা থাকছে না

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হারিয়ে গেলে নতুন কার্ড তোলার ক্ষেত্রে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার বাধ্যবাধকতা থাকছে না। এছাড়া নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধির সই নেওয়ার বিষয়টি তুলে দেওয়ার পক্ষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।

Advertisement

সূত্রগুলো জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সচিব পর্যায়ের বৈঠক থেকে এসে ইসিসচিব সম্প্রতি এক বিশেষ সমন্বয় সভা ডাকলে কর্মকর্তারা এমন সুপারিশ করেন। এতে এনআইডি সেবাকে সহজ করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ইসি সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত এক কার্যবিবরণীতে বিষয়টি ওঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির আবেদনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা জনপ্রতিনিধির সই নিতে সেবাগ্রহীতাকে বিড়ম্বনা বা হয়রানির মুখে পড়তে হয়। জনপ্রতিনিধির স্বাক্ষরিত সনদ থাকলে এর প্রয়োজন হয় না।

এছাড়া অনেক সময় সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে বাড়িভাড়ার চুক্তির কাগজপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র চাওয়া হয়, যা সেবাগ্রহীতার পক্ষে সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতাকে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানে দালালের হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় এবং এক্ষেত্রে বিকাশ অ্যাপের মতো নিজের ছবি ভেরিফিকেশন করে সহজ অ্যাপ তৈরি করে অনলাইন সেবাকে সহজীকরণ করা যেতে পারে।

Advertisement

আরও পড়ুন এনআইডি কার্যক্রম অন্য কোথাও গেলে ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এনআইডিতে ঠিকানা-এলাকা সংশোধনে ফি আরোপের ভাবনা ইসির এনআইডি সংশোধন নিয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করলো ইসি

অন্যদিকে, হারানো এনআইডি পুনর্মুদ্রণের ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতাকে জিডির কপি দেওয়ার বর্তমান নির্দেশনা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। একটি জিডি করতে সেবাগ্রহীতাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

কর্মকর্তারা আরও জানান, নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সেবাসহ যেসব কার্যক্রম করে থাকে এ বিষয়ে যথাযথ প্রচার হয় না বলে সেবাগ্রহীতারা সঠিক তথ্য পান না, যার কারণে তাদের দালালদের শরণাপন্ন হতে হয়। সেবা সহজীকরণ করে এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা যেতে পারে।

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক ডাটা এন্ট্রির জন্য ডাটা এন্ট্রির অপারেটরের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এ অবস্থায় কোনো অপারেটর অনুপস্থিত থাকলে অফিস প্রধান হয়েও তিনি কোনোভাবেই সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারেন না। এমতাবস্থায়, উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের নামে একটি বিকল্প ডাটা এন্ট্রি অ্যাকাউন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। অনলাইনের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রাপ্তির আবেদন ফরম এমনভাবে তৈরি করা উচিত যাতে আবেদন ফরম এন্ট্রির সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি ক্যাটাগরিভুক্ত হয়ে যায়।

এসব আলোচনার পর এনআইডি সেবাকে সহজ করার লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন ইসিসচিব।

Advertisement

এমওএস/এমএএইচ/জিকেএস