আন্তর্জাতিক

পেজার বিস্ফোরণ, মধ্যপ্রাচ্যে বড় যুদ্ধের শঙ্কা দেখছে রাশিয়া

লেবাননজুড়ে ভয়াবহ পেজার বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের শঙ্কা দেখছে রাশিয়া। এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, যা ঘটেছে তা লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আরেকটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছি। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, উচ্চ প্রযুক্তিগত এই আক্রমণ ইচ্ছাকৃতভাবে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় যুদ্ধের উসকানি দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে বড় পরিসরে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর আগে রুশ পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল যে এই ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের রাজধানী বৈরুত এবং আরও বেশ কয়েকটি শহরে একযোগে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২ হাজার ৭৫০ জন। আহতদের মধ্যে লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতও রয়েছেন।

এছাড়া হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন যোদ্ধাও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement

আরও পড়ুন: পেজার বিস্ফোরণ, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুমকি হিজবুল্লাহর ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর হামলা ইসরায়েলে ৪৮ ঘণ্টা জরুরি অবস্থা ঘোষণা

পেজার হলো এক ধরনের ছোট যন্ত্র, যা মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসেবে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। মঙ্গলবার হঠাৎ লেবাননের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক পেজার বিস্ফোরিত হতে থাকে। সেগুলো হ্যাক করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, যে পেজারগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেগুলো হিজবুল্লাহর বিভিন্ন ইউনিট ও প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ব্যবহার করতেন। এসব বিস্ফোরণে তাদের অন্তত দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এসব বিস্ফোরণের জন্য সরাসরি ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে গোষ্ঠীটি। তারা বলছে, এর জন্য ইসরায়েলকে ‘উপযুক্ত শাস্তি’ পেতে হবে।

টিটিএন

Advertisement