অর্থনীতি

ঋণ সহায়তা বাড়ানোয় বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ শারমীন মুরশিদের

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন, পরিবেশ, বন্যা মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশেকে ঋণ সহায়তা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

Advertisement

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন অর্থায়ন করতে পারবে। বিশ্বব্যাংক বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদার ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।

আবদৌলায়ে সেক বলেন, বিশ্বব্যাংক এবারের অর্থবছরে বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ঋণ এবং মঞ্জুরি দেবে। যত দ্রুত সম্ভব জরুরিভাবে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে এমন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তারা।

Advertisement

আবদৌলায়ে সেক জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি ঢাকার দেয়ালে তরুণদের আঁকা বর্ণিল গ্রাফিতি ও ম্যুরাল দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। ছাত্রদের ক্ষমতায়ন করতে হবে বলেও জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন,বিগত ১৫ বছরের অপশাসন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আমরা নতুন যাত্রার সূচনা করেছি। ধ্বংসাবশেষ থেকে আমাদের নতুন কাঠামো তৈরি করতে হচ্ছে। ছাত্রদের যে স্বপ্ন রয়েছে তা পূরণে মনোযোগ দিতে হবে। পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংককে কারিগরি সহায়তার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ বির্নিমাণে বিশ্বব্যাংকের দক্ষতার প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সহায়তা করতে সম্মত হন।

কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, বিশ্বব্যাংক পরিসংখ্যানগত তথ্যের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি তৈরি, কর আহরণে অটোমেশন চালু এবং আর্থিক খাত সংস্কারে সহায়তা করতে চায়।

Advertisement

জুলাইয়ে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এর ফলে ৫ আগস্টে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। এ আন্দোলনে প্রায় ৮০০ মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আন্দোলনে নিহতের পরিবারগুলোকে সহায়তা এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সরকার জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করেছে বলে কান্ট্রি ডিরেক্টরকে জানান উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ।

আইএইচআর/এমকেআর/এমএস