অর্থনীতি

কোনো রকমে বাড়লো সূচক, কমেছে লেনদেন

গত কয়েক কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় বুধবারও (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। বাজারটিতে দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় রয়েছে প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠান। এরপরও বেড়েছে মূল্যসূচক। কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

Advertisement

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এরপরও ডিএসইর মতো এ বাজারটিতেও মূল্যসূচক বেড়েছে। আর কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দুই বাজারেই মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখতে মূখ্য ভূমিকা রেখেছে বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠান। বেশিরভাগ বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় সূচক বেড়েছে।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

তবে লেনদেনের শেষদিকে দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে বড় হয় দাম কমার তালিকা। অবশ্য এর মধ্যেও দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানগুলোর। ফলে দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার পরও সূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।

Advertisement

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৪টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৫৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৩৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৮১ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে সোনালী আঁশের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫ কোটি ৩৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ২২ কোটি ৩৫ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লিন্ডে বাংলাদেশ।

Advertisement

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ইবনে সিনা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, টেকনো ড্রাগস, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং সোনালী পেপার।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩২টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১০ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

এমএএস/এমএএইচ/এমএস