রোগীকে লাথি মারার অভিযোগে এক চিকিৎসককে তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আগামী ১ অক্টোবর কমিশনের বেঞ্চ-২ এ সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে ওই চিকিৎসককে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানানো হয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে।
গত ৫ জুলাই গণমাধ্যমে “রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, ডাক্তারকে ডাকতে গেলেই মারলেন ‘লাথি’” শিরোনামে প্রচারিত সংবাদ প্রতিবেদন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে আসে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রংপুরে রোগীর স্বজনের পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ওই চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। এ অবস্থায়, অভিযোগের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তপূর্বক কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণ করতে জেলা প্রশাসককে বলা হলে গত ২০ আগস্ট প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
Advertisement
অভিযোগ ও প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার-২, রংপুর এর চিকিৎসক এবং তার সহকারী কর্তৃক ভুক্তভোগী নারীকে ধাক্কা দেওয়া ও টানাহেঁচড়া করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই চিকিৎসককে আগামী ১ অক্টোবর কমিশনের বেঞ্চ-২ এ সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ‘আমার চাচা দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। ১৪ দিন আগে অসুস্থ চাচাকে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখাই। এসময় তিনি প্রেসক্রিপশন দিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন। দুই সপ্তাহ পরও চাচার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে আসি। কিন্তু চাচার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সত্বেও তিনি সিরিয়াল দিচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে আমার চাচা নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না। শেষে আমি ডাক্তারের রুমে গেলে উনি কোনো কিছু বলার আগেই আমার পেটে লাথি মারেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ওই নারী জোর করে চেম্বারে ঢোকার চেষ্টা করলে আমার সহকারী তাকে বাধা দেন। পরে জোর করে চেম্বারে প্রবেশ করেন। এতে রেগে গিয়ে আমি তাকে ধাক্কা দেই। তার পেটে লাথি মারার কথা সঠিক নয়।
এ ধরনের ঘটনা অমানবিক ও অনভিপ্রেত বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনে করে।
Advertisement
এফএইচ/এসএনআর/এএসএম