অস্ট্রেলিয়ান মারকুটে ওপেনার ট্রাভিসে হেড। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে একার হাতে হারিয়ে দিয়েছিলেন ভারতকে। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে হয়েছিলেন ফাইনাল সেরা।
Advertisement
তবে, ট্রাভিস হেড ওয়ানডের চেয়ে সবচেয়ে বেশি বিধ্বংসী টি-টোয়েন্টিতে। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার ওভারকে কত বেশি কাজে লাগানো যায়, এই সময়টাতে কত বেশি রান তোলা যায়, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন হেড। সেই আইপিএল থেকে শুরু করে ট্র্যাভিস হেড যেন টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের ধারণাই বদলে দিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি সিরিজটাই ২০২৪ সালে ট্রাভিস হেডের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি অ্যাসাইনমেন্ট। কারণ, এই বছর আর কোনো টি-টোয়েন্টি খেলা হবে না অস্ট্রেলিয়ার। ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৩ ম্যাচের সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ ড্র’তে। একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে হয়নি।
এর মধ্যে প্রথম ম্যাচেই ট্রাভিস হেড ২৩ বলে ২৫৬.৫২ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৫৯। আউট হয়েছিলেন পাওয়ার প্লের একেবারে শেষ বলে। তার আগেই ৬ ওভারে ৮৬ রান তুলে দিয়েছিলেন স্কোরবোর্ডে। যে কারণে ইংল্যান্ড করতে পারে ১৭৯ রান এবং জয় পায় ২৮ রানের ব্যবধানে।
Advertisement
বছরের এখনও প্রায় তিন মাস বাকি। তার আগেই টি-টোয়েন্টিতে ২০২৪ সালটা পুরোপুরি নিজের করে নিয়েছেন হেড। সংখ্যার আলোকে দেখা যাক কতটা ধারাবাহিক এবং বিধ্বংসী ছিলেন হেড!
১৮২.০৭: ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টিতে ট্রাভিস হেডের স্ট্রাইক রেট। এক বছরে ১০০০ প্লাস রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে অবশ্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট হেডের। ২০১৯ সালে আন্দ্রে রাসেলের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮২.১২।
২: টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে গড়ে ৪০ এর বেশি এবং স্ট্রাইক রেট ১৭৫ এর বেশি করে ১০০০ প্লাস রান তোলার কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছেন মাত্র ২ জন ব্যাটার। একজন ট্র্যাভিস হেড এবং অন্যজন ভারতের সুর্যকুমার যাদব। ৩৯ ইনিংসে ১৪৪২ রান করেন হেড। গড় ৪১.২০ করে। সূর্যকুমার যাদব ২০২২ সালে ৪১ ইনিংসে করেছিলেন ১৫০৩ রান। ৪৫.৫৪ গড়। আন্দ্রে রাসেল এবং লুক রনকির এক হাজারের বেশি এবং স্ট্রাইক রেটও ১৭৫ এর বেশি। তবে তাদের গড় ৪০-এর কম।
২: ট্রাভিস হেড টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে ২য় ব্যাটার, যিনি প্রথম ৬ ওভারেই এক পঞ্জিকাবর্ষে ১০০০ এর বেশি রান করেছেন। অন্যজন হলেন অ্যালেক্স হেলস। এই বছরে প্রথম ৬ ওভার থেকে হেড করেছেন ১০৫৮ রান। গড় ছিল ৫৮.৭৭ করে। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৯৩.০৬ করে। অ্যালেক্স হেলস ২০২২ সালে প্রথম ৬ ওভারে করেছিলেন ১২২৩ রান।
Advertisement
৩.১৮: ২০২৪ সালে অ্যালেক্স হেল প্রতি ৩.১৮ বল অন্তর একবার করে বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন। এক পঞ্জিকাবর্ষে অন্তত ৫০০ রান করেছে, এমন ব্যাটারদের মধ্যে হেড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৭ সালে ২.৮৫ বল অন্তর একটি করে বাউন্ডারি মেরেছিলেন অ্যালেক্স হেলস।
৭: ২০২৪ সালে ১৪টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন অ্যালেক্স হেলস। এর মধ্যে ৭টি হাফ সেঞ্চুরিই করেছেন ২০ বল বা তারও কম বলের মধ্যে। এর আগে ২০১৭ সালে লুক রনকি সর্বোচ্চ চারটি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০ বলের মধ্যে। সেবার ৮টি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন রনকি।
১৪: ২০২৪ সালে মোট ৩৯টি ইনিংসের মধ্যে ১৪টি ইনিংসে ৫০ প্লাস স্কোর করেছেন। অথচ ২০২৩ সাল পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ১০৩ ইনিংসে ১১টি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
৭: ২০২৪ পাওয়ার প্লের মধ্যে ট্রাভিস হেড হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ৭টি। এক বছরের মধ্যে পাওয়ার প্লেতে অন্য যে কোনো ব্যাটারের চেয়ে সবচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন হেড। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের জেসন রয় করেছিলেন ৪টি হাফ সেঞ্চুরি।
আইএইচএস/