দেশে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন পাঁচ ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৮৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছেন ৩৫৩ জন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০২ জন, বরিশালে ৮০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৪ জন, খুলনায় ৭২ জন, ময়মনসিংহে ১৩ জন, রাজশাহীতে ২৫ জন ও রংপুরে ৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২০ হাজার ২১৩ জন। এদের মধ্যে ৬৪ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। এ সময়ে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১১৩ জনের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ নারী এবং ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ।
Advertisement
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১০৫ জন।
Advertisement
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ২৮১ জন মারা যান।
এএএম/কেএসআর/এএসএম