বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় গুলিতে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার আদালতে সোহেল রানার ছোটভাই জুয়েল মামলার আবেদন করেন। আদালত অভিযোগটি যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়।
আরও পড়ুন
Advertisement
এছাড়াও রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, মির্জা আজম, পংকজ দেবনাথ, ডিএসসিসির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, শাহরিয়ার কবির, লিয়াকত শিকদার, বদিউজ্জামান সোহাগ, মোতাহের হোসেন প্রিন্স, সাইফুর রহমান সোহাগ, এসএম জাকির হোসাইন, সাদ্দাম হোসেন, শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, মনিরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, অপু উকিল, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি প্রমুখ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন সোহেল রানা। সেখানে অন্য আসামিদের নির্দেশে পুলিশের পোশাক পরিহিত লোকের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সোহেল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জেএ/কেএসআর/এমএস
Advertisement