দেশজুড়ে

স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা দিদার হত্যায় মামলা, শেখ সেলিমসহ আসামি ১৬০০

গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যার পাঁচদিন পর মামলা হয়েছে। এতে গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে অন্তত দেড় হাজার জনকে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহত দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও সাবেক এমপি নাজমা আক্তার, বিজিএমইএর সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান।

Advertisement

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী স্ত্রী-সন্তানসহ মা-বাবার কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে ছিল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ কয়েকশত নেতাকর্মীর গাড়িবহর। গাড়িবহরে ছিলেন শওকত আলী দিদারও।

বহরটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরপাথালিয়া এলাকায় পৌঁছানোমাত্র আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে গাড়িবহরের লোকজন প্রাণভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করলে আক্রমণকারী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র টেঁটা, রামদা, বল্লম, চাইনিজ কুড়াল, ধারালো ছোরা ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর শুরু করে। এসময় শওকত আলী দিদারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠি ও কাঠ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের ঢালে ফেলে রাখে।

নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বলেন, ‘আমার স্বামী হত্যায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে ও স্বামীর দাফন শেষ করে আজ মামলা করলাম। আমি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করেছি। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ১২ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

এসআর/এমএস