বাংলাদেশে শান্তি বিনষ্ট হলে দিল্লিকেও শান্তিতে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
Advertisement
তিনি বলেন, হত্যাকারী শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। তারা নানান ষড়যন্ত্র করছেন। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ একেকজন সৈনিক। অতএব হুমকি দিয়ে কাজ হবে না।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, আমরা শেখ হাসিনাকে বহুবার বলেছি কেয়ারটেকার সরকার দেন। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বহুবার বলেছেন। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনেননি। তিনি দাদাদের কথা শুনলেন। আমাদের কথা শুনলে এভাবে পালিয়ে যেতে হতো না। এখন বলেন তিনি নাকি চট করে ঢুকে যাবেন?
Advertisement
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন শেখ হাসিনা পালায় না, মুজিবকন্যা পালায় না। কোথায় কাদের? দলের সব নেতাকর্মীকে ফেলে পালালেন। যেন চাচা আপন প্রাণ বাঁচা। শেখ হাসিনা এই দৌড় অলিম্পিকে দিলে সোনার মেডেল পেতেন। গত ১৫ বছরে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা ও গুম করা হয়েছে। শত শত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। পিলখানায় ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু বলেন, এক মাসের আন্দোলন নয়, বরং ১৬ বছরের গুম খুন নির্যাতনের শেষ পরিণতি শেখ হাসিনার পতন। এখনো খুনি শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা দালালরা ষড়যন্ত্র করছেন। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্র সুসংহত করতে হবে।
যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, শেখ মুজিব পঁচাত্তরে একদলীয় বাকশাল গঠন করেছিলেন। সেখান থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। পরে ১৯৯১ সালে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়ে আবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে আবারও একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা চালায়।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
Advertisement
কেএইচ/এমকেআর/এমএস