সাম্প্রতিক বন্যায় ১১ জেলায় ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫২২ টাকা সমমূল্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর বিক্রম।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান উপদেষ্টা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, বন্যায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮২১ জন। বন্যায় মারা গেছেন ৭৪ জন, আহত হয়েছেন ৬৮ জন। বন্যায় ২৩ কোটি ৬০ লাখ ২৯ হাজার ৭৪০ টাকার ফসল সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার ৬১০ টাকার ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষ নিয়ে এরই মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়েও এমন কমিটি হবে। তারা পুরো পুনর্বাসন কর্মসূচি মনিটরিং করবেন বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
Advertisement
বন্যাদুর্গত এলাকায় কৃষকদের দাবি রয়েছে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির টাকা যাতে আপাতত না নেওয়া হয়। এ বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, হ্যাঁ এটা করা হয়েছে। আজকের সভাতেও বলা হয়েছে। তিন মাসের জন্য কিস্তির টাকা রহিত করা হয়েছে। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত কৃষকদের কিস্তির টাকা রহিত করা হয়েছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান দিতে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বন্যাকবলিত ১১ জেলায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ ৩২ কোটি টাকা। আমরা সেটা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে বরাদ্দ করেছি।
প্রাথমিকের শিক্ষা কার্যক্রম এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলেও জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
আরএমএম/কেএসআর/এমএস
Advertisement