লক্ষ্মীপুরে পৃথক দুটি হত্যাসহ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্ছানগর এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Advertisement
রাত সাড়ে ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতোদিন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
গ্রেফতার সৈয়দ আহম্মদ লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি শিক্ষার্থী আফনান পাটওয়ারী হত্যা মামলার ১৩ নম্বর, সাব্বির হোসেন রাসেল হত্যা মামলার ৮১ নম্বর ও পুলিশের দায়েরকৃত মামলার ৮ নম্বর আসামি।
Advertisement
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের ঝুমুর-মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্রজনতার ওপর হামলাসহ গুলি চালায়। এতে ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এরমধ্যে নিহত শিক্ষার্থী আফনান পাটওয়ারীর মা নাছিমা আক্তার ও সাব্বির হোসেন রাসেলের বাবা আমির হোসেন সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
আফনান হত্যায় এজাহারে ৭৫ জনের নাম ও সাব্বির হত্যায় ৯১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ দুই মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ৪ আগস্ট দায়িত্বরত কাজে বাধাসহ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনবিক চাকমা বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। প্রত্যেকটি মামলায় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
২০ আগস্ট রাতে সাব্বির হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারীকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
কাজল কায়েস/এফএ/জেআইএম
Advertisement