জাতীয়

তামাকবিরোধী ক্যাম্পেইনে অ্যাডভোকেসি বিষয়ে তরুণদের প্রশিক্ষণ

তামাকবিরোধী ক্যাম্পেইনে তরুণদের অ্যাডভোকেসি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডর্প)।

Advertisement

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী এ কর্মশালায় তামাকজাত পণ্য রুখে দিতে নানান গঠনমূলক আলোচনা ও আগামী তিন মাসের কর্মকাণ্ডের তালিকা করা হয়। কর্মশালায় ২৫ জনের বেশি তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

প্রশিক্ষণে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিঞা বলেন, তামাক ও তামাকজাত মাদক গ্রহণের পর তরুণরা ধীরে ধীরে অন্যান্য ভয়ঙ্কর মাদকেও আসক্ত হতে থাকে। এ জন্য প্রথমেই আমাদের তামাকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ডর্প সারাদেশে পাঁচটি বিভাগে ৩০টি জেলায় ৭৪টি উপজেলায় বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

Advertisement

তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর রুবিনা ইসলাম প্রশিক্ষণপ্রার্থী তরুণদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনার পাশাপাশি বলেন, তামাকসহ নানা রকমের মাদক ব্যবহারের হার দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে মানবসমাজ খুব তাড়াতাড়ি হুমকির শিকার হবে, এ অবস্থায় তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

প্রশিক্ষণার্থী আজিজুল হক ঈশান বলেন, প্রশিক্ষণটি আমাদের জন্য খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা তামাকবিরোধী অভিযানে নামবো। আশাকরি, জনসচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবো।

সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রণীত খসড়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাকপণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট, ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাকপণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কতার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন গুরুত্বারোপ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসএএইচ/বিএ/এএসএম

Advertisement