দেশে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে আরও ২৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হাজার ৩৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় একজন ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এডিস মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৮ জনে।
Advertisement
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২০৬ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, খুলনায় ১০ জন, ময়মনসিংহে ১০ জন ও রাজশাহীতে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন
Advertisement
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১৯ হাজার ৩৪২ জন। তাদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
১ জানুয়ারি থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১০৮ জনের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ নারী এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এরমধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এ রোগে মারা যান, যা দেশের ইতিহাসে একক কোনো বছরে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
Advertisement
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে ৮ মাসে মারা গেছেন ৯২ জন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর এডিস মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
এএএম/এমকেআর/এমএস